FreeWebSubmission.com

১০ অক্টো, ২০১৯

short bengali drama script

থুতু  (Split)

বাস্তব জীবনের গল্প:

দৃশ্যঃ১
চরিত্রঃ দারোয়ান, আফজল হোসেন, জয়
স্থানঃ আফজাল হোসেনের ড্রইং রুম
সময়ঃ দিন

দেয়ালে এক জন বন্দুক ধারী জমিদারের ছবি ঝুলছে তার নিচেই একটা বাঘের শো পিস। হালকা বাতাসে দরজার পর্দা কাঁপছে। দারোয়ান হাত জুরাজুরি করছে।
দারোয়ানঃ স্যার টাকাটা না হলে ছেলেটাকে বাঁচাতে পারুম না। দয়া করেন স্যার।

আফজাল সাহেবঃ (মুখের ওপর থেকে পত্রিকাটা সরিয়ে টেবিলের উপর রেখে সিগারেটের প্যকেট থেকে একটা সিগারেট আর লাইটারটা নিয়ে জানালায় গিয়ে দাড়াবে। সিগারেট ধরিয়ে একরাশ ধোয়া জানালা দিয়ে বাহিরে খোলা আঁকাসের দিকে ছাড়বে।
গলাটা যথেষ্ট গম্ভীর করে বলবে) তোমাকে তো বেতন দেওয়া হয়, হয় না! যখন তখন টাকা চাওয়ার অভ্যাশ বাদ দাও
আমি তো আর টাকার গাছ লাগায়নি, লাগিয়েছি! বেতন ছাড়া তোমাকে কোন টাকা দেওয়া হবে না যাও নিজের কাজে
যাও। দারোয়ান ঘুরে বাহিরের দরজার দিকে যাবে। আফজাল সাহেব আবার বলে উঠবে

আফজাল সাহেবঃ এসব ছোটলোকদের স্বভাব কখনো বাদলাবে না বলেই তিনি সিগারেটে একটা টান দিয়ে খুক খুক করে কেশে
জানালার বাহিরে একদলা থুতু ফেলবেন।)
আফজাল সাহেবের কথাটা শুনেই দারোয়ান থমকে দাঁড়াবে। মাথাটা ঘুরিয়ে আফজাল সাহেবের দিকে তাকাতে যেয়ে দেখবে ভেতরের দরজায় আফজাল সাহেবের ছোট্ট ছেলে জয় দাঁড়িয়ে আছে, তার দিকেই তাকিয়ে আছে। দারোয়ানের চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা পানি ঝড়বে। কান্নার বেগ বৃদ্ধি পেতেয় দারোয়ান বাহিরে চলে যাবে। জয় দারোয়ানের দিক থেকে মুখটা তার বাবার দিকে ফিরিয়ে দেখবে বাবা আরাম করে সিগারেটে টান দিচ্ছে আর মুখ ভর্তি ধোঁয়া জানালা দিয়ে বাহিরে খোলা আঁকাসের দিকে ছুড়ছে। জয় ড্রইং রুমের দরজা ছেড়ে নিজের রুমের দিকে যাবে।


bengali short story script আত্তচিত্র


দৃশ্যঃ২
চরিত্রঃ জয়, রফিক
স্থানঃ জয়ের ঘর, জানালা, জানালার নিচের ফুটপাথ( রাস্তা)
সময়ঃ বিকেল

জয়ঃ (জয় নিজের ঘরে ঢুকে বিছানার উপর দেখবে একটা টেডি বেয়ার। সে টেডি বিয়ারটা হাতে তুলে নিয়ে বলবে।) এসব
ছোটলোকদের স্বভাব কখনো বাদলাবে না, থু।
জয় টেডি বেয়ারের মুখে একদলা থুতু ছিটিয়ে টেডি বেয়ারটা ছুরে মারবে। টেডি বেয়ারট জানালায় ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়বে। জয়ের চোখ জানালায় আটকে যাবে। সে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়াবে, টেডি বেয়ারটাকে একটা লাথি মেরে জানালা দিয়ে নিচে ফুটপাথের দিকে তাকাবে। ঠীক তখনি জানালার নিচ দিয়ে রফিক যাচ্ছিলো। উস্কোখুস্কো চুল, মুখে খোচাখোচা দাড়ি, ময়লা জীন্স প্যন্ট, কুচকানো সার্ট, ছেড়া চটি। রফিক যখন ঠীক জানালার নিচে তার মাথার একদম সামনে একদলা থুতু পড়ে ছিটে যাবে। রফিক থমকে দাঁড়াবে। উপর দিকে তাকিয়ে দেখবে একটা ফুটফুটে বাচ্চা ছেলে তার দিকে তাকিয়ে আছে মুখে শয়তানি হাসি।
জয়ের মুখ থেকে হাসি সরে গয়ে সেখানে কৌতহল, কৌতহল থেকে সেখানে রাগ ফুটে উঠবে। নিচ থেকে রফিক উপর দিকে জয় কে উদ্দেশ্য করে থুতু ছুড়বে। জয় রেগে যাচ্ছে দেখে দ্বিগুণ উৎসাহে থুতু ছুড়তে থাকবে। জয়ের মুখ থেকে রাগ কেটে গিয়ে সেখানে আবার শয়তানি হাসি ফিরে আসবে। রফিক, জয়ের হাসি দেখে থমকে যাবে। জয় জানালা ছেড়ে রুমের ভেতরের দিকে যাবে। রফিক উঁকিঝুঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করবে জয় কি করে। জয় একটা চেয়ার নিয়ে এসে জানালার কাছে রাখবে। চেয়ারে উঠে একহাতে জানালার শিক ধরে অন্য হাতে প্যান্টের চেন খুলবে। রফিক ব্যাপারটা আচ করতে পেরে দৌড়ে সানসেটের নিচে গিয়ে দাঁড়াবে। রফিক সানসেটের নিচে দাড়িয়ে আছে তার একটু পাশেই উপর থেকে পানি পড়ছে। ঠিক তখন একটা গানের কলি ভেশে আসবে (শ্রাবণের মেঘগুলি জড়ো হলো আকাশে...অঝড়ে নামবে বুঝি শ্রাবণের ঝড়ায়ে)।ক্যমেরা উপর দিকে উঠতে থাকবে ( দেখা যাবে জয় জানালা দিয়ে পেশাব করছে)। ক্যমেরা উপরে উঠতে উঠতে ছাদে গিয়ে আটকে যাবে। সেখানে একদল ছেলেমেয়ে বিকালের আড্ডায় মেতে উঠেছে, গিটার হাতে তাড়ায় গানটা করছে। জয়ের পেশাব শেষ হওয়ার পর রফিক সানসেটের নিচ থেকে বেড় হয়ে আসবে, উপড়ের দিকে তাকিয়ে দেখবে জানালায় জয় হাসছে। বিজয়ের হাসি তার ঠোটে লেগে আছে। রফিক "হারামজাদা" বলে একটা গালি দিয়ে চলে যাবে।

দৃশ্যঃ
চরিত্রঃ রফিক, সেজাদ
স্থানঃ সেজাদের ড্রইং রুম, জানালা, জানালার নিচের ফুটপাথ( রাস্তা)
সময়ঃ দিন

সেজাদ সোফায় বসে ল্যাপটপে গান শুনছে, তখন কলিং বেল বেজে উঠবে। সেজাদ দরজা খুলে বলবে
সেজাদঃ তুই! আয় ভেতরে আয়।(সেজাদঃ তোর চাকরিটা হয়ে গেছে , মামা বলেছে ৩০,০০০ টাকা বেতন আর থাকার জন্য একটা ফ্ল্যাট দিবে। কি চলবে তো?
রফিক সেজাদের দিকে তাকিয়ে অল্প হাসবে। তখন বেডরুমে সেজাদের ফোনটা বেজে উঠবে
সেজাদঃ তুই বোশ, আমি ফোনটা রিসিভ করে আসছি (সেজাদ বেডরুমের দিকে যাবে)।
রফিক সেজাদের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকবে। সেজাদ রুমের ভেতরে চলে গেলে রফিক চোখ সরিয়ে আনবে টেবিলে পরে থাকা খামটার উপর। খামটা হাতে নিয়ে সোফায় হেলান দিয়ে পায়ের উপর পা তুলে আয়েশ করে বসে খামটা খুলবে। খামের ভেতর থেকে লেটারটা অর্ধেক বের করতেয় দেয়াল ঘড়িটা বেজে উঠবে। রফিক খামটা হাতে রেখেয় ঘড়ির দিকে তাকাবে, একে একে ঘরের সাজসজ্জা দেখতে থাকবে। বেশ দামি দামি সব আসবারপত্র দিয়ে ঘরটা সাজানো। সাজসজ্জা দেখতে দেখতে তার চোখ গিয়ে ঠেকবে জানালায়। সে খামটা টেবিলের উপর রেখে জানালার কাছে গিয়ে দাড়িয়ে নিচের ফুটপাথের দিকে তাকাবে।

জানালার নিচ দিয়ে সে সময় অর্ণব যাচ্ছিলো। উস্কোখুস্কো চুল, মুখে খোচাখোচা দাড়ি, ময়লা জীন্স প্যন্ট, কুচকানো সার্ট, ছেড়া চটি। অর্ণব যখন জানালার নিচে ঠিক তখন তার মাথার সামনে একদলা থুতু পড়ে ছিটকে যাবে। অর্ণব উপর দিকে তাকিয়ে দেখবে জানালায় একটা লোক তার দিকে তাকিয়ে হাসছে, শয়তানি হাসি। রফিকের মুখ থেকে হাসি সরে গিয়ে সেখানে কৌতহল ফুটে উঠবে, কৌতহল থেকে রাগ। নিচ থেকে অর্ণব, রফিক কে উদ্দেশ্য করে উপর দিকে থুতু ছুড়বে। রফিক রেগে যাচ্ছে দেখে দ্বিগুণ উৎসাহে ছুড়তে থাকবে। হটাত অর্ণব থমকে গিয়ে অবাক হয়ে রফিকের দিকে তাকিয়ে থাকে। রফিকের মুখ থেকে রাগ সেরে গিয়ে সেখানে আবার শয়তানি হাসি বাসা বাধবে। তখন একটা গানের কলি ভেশে আসবে "শ্রাবনের মেঘ গুলি জড়ো হোলো আকাশে.....অঝড়ে নামিবে বুঝি শ্রাবণের ধারা এই" ক্যমেরা রফিকের মুখ থেকে সরে ড্রইংরুমের টেবিলের উপর রাখা ল্যাপটপের দিকে যাবে।

স্ক্রিনে ভেশে উঠবে " উপর তালায় থাকার একটা সুবিধা আছে
চাইলেই থুতু ফেলা যায় যে কারো মাথায়
আরো ভালোভাবে বললে
উপর তলায় উঠলেয়
নিচে থুতু ফেলতে ইচ্ছে করে "

বি:দ্র: বাংলা লেখায় একটু দুর্বলতা আছে তাই বানানজনিত ভুল এর জন্যে ক্ষমাপ্রার্থি।



কবিতা পড়তে এখানে ক্লিক করুন


nogorkatha - নগর কথা - bangla short film script website

৭ সেপ, ২০১৯

Bangla Kobita Website

                                           কিছু-কথা

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি কখনো কবিতা লিখিনি। সে চেষ্টাও করিনা, তাহলে আমি কি লিখি? আমার উদ্ভট মস্তিষ্কে যা নাজিল হয় আমি তাই লিখি। সেগুলা কি হয় আমি জানিনা তবে কবিতা যে হয় না সেটা জানি কারণ কবিতা লিখতে হয় নিয়ম বেঁধে ছন্দে আমারতো কেবলি ছন্দ পতনের গল্প তাছাড়া আমি কবিতাকে কোন নিয়মে বাঁধতে চাইনা। কবিতা হবে পানির মত আকৃতি বিহীন। কবিতাকে আকার দেওয়া যায় না, না পাত্রে না পত্রে। কবিতা বিশাল আকাসের চেয়েও বিশাল, গভীর নলকূপের চেয়েও গভীর। কবিতা সমুদ্রের মত। যত খুঁজবে তত মুক্ত- মানিক পাবে। আমি স্বরবৃতি, মাত্রাবৃতি বুঝিনা তাই আমি কখোনো কবিতা লিখিনা। জোড়াতালির শব্দ ভঙ্গা ভাঙ্গা বাক্য এগুলোতো আর কবিতা হয় না। তারপরও এসব যা ইচ্ছেতাই লেখাই দু' চার জন পাঠক জুটে যায়, ছেড়া হৃদয়ের গল্প পড়ে কেউ কেউ উঃ, আহ করে এসব এই দুর্ভাগার সৌভাগ্য, আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। প্রসব ব্যথা উঠলেই আমি লেখা প্রসব করি।

আমার বেতাল শব্দদের ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন, আমি নিজেও জানি আমার এই লেখাগুলো সাহিত্যের কোন বাঁধায় বাঁধা পরে না।

nogorkatha - নগর কথা - bangla kobita website

Bangla koster kobita

তোমায় ছোব

তুমি না হয় গোলাপ নিও
তোমার খোপায় ভীষণ যায়
আমি না হয় ধুতুরা চিবাবো
হারিয়ে ফেলার দায়।
ওষ্ঠে তুমি বিষই রেখো
নষ্ট হবার ভয়ে
আমি না হয় বিষেই মরি
ভ্রমরা হবার দায়ে।
যত্ন করে সেজো তুমি
নূপুর দুটি পরে
তাজা বুকের রক্ত দেবো
আলতা বানিয়ো পায়ে।

কপাল জুড়ে ছোট্ট টিপ
মধ্য রাতের চন্দ্র
আমাবস্যা আমায় ঘিরুক
কান্না করুক শত।
কাঁচের চুড়ি হাতটি জুড়ে
ছন্দে ওঠো মেতে
বুকে আমার ব্যাথার বীনা
বাজুক যতয় করুণ সুরে
তুমি হাসি রেখো ঠোঁটে।

কাজল কালো চোখ
যেনও পদ্দ দীঘির পাড়
দীঘির জলেয় ডুববো না হয়
শীতটা দেখাক যতয় ভয়।
হলদে রাঙ্গা শাড়ী পড়ো
শষ্য ক্ষেতের মাঠ
মাতাল হাওয়ায় তোমায় ছোব
এই জীবনের স্বাদ।


প্রেম বিচ্ছেদ কবিতা


বিচ্ছেদের পর

বিচ্ছেদের পর,
পুরনো প্রেমের তিক্ততা
গলায় আটকে থাকে
শত চেষ্টাতেও উগলে ফেলা যায় না
প্রেয়সির  ঘর, সংসার সুখ-
উচ্ছ্বাস সব কষটা লাগে।
যে শরীরের গন্ধেছিল মাদকতা
সমস্ত শিরা- উপশিরায় ধমনিতে বইতো
বিচ্ছেদের পর,
সেই গন্ধেই বিরক্তি লাগে
বিচ্ছেদের পর,
ভালোবাসার ছিন্ন কাপড়টাকে
বড্ড আপন লাগে।
যে হাসি আমায় ভুবন ভুলিয়ে দিত
যে চোখের নজরে বুকের
ভেতরটা তোলপাড় করে উঠতো
বিচ্ছেদের পর
সেসব আমায় দারুন এক ক্ষত দিল।

ক্ষততে পুজ জমবে
পচিয়ে দেবে আমার শুদ্ধ প্রেমকে

বিচ্ছেদের পর,
আমার নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।



ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা


bangla premer kobita


                                          রাতের জ্বালা

কেমন করে ঘুমাও তুমি!
ঘুম কি আসে চোখ জুড়িয়ে!
স্বপ্ন ভরা নিবির রাতে!
বুকের মাঝে কয় না কথা!
অচিন পাখি,
হাজার রকম প্রশ্ন তুলে?

আমি কেমন পুরতে থাকি
তারায় তারায় জ্বলতে থাকি
হারিয়ে এই আঁধারে
তারেয় কেবল খুঁজতে থাকি
পাইনা খুঁজে সিথান পাশে
বুকের ভেতর শূণ্যতা জাগে
দেয়নি ধরা যে, সেই সকালে
কেনো তারে মনে পড়ে
এই মাঝ রাত্রিরে।

তোমারও কি এমন হয়!
দু'চোখ ভরে দেখবো তোমায়
চোখের পাতা এক করিনা
রাতের কাছে আর্জি রাখি
আমার যেনো ঘুম আসে না,
তোমার সনে কইবো কথা
অপেক্ষাতে দিন কাটেনা
এসেও তুমি দাওনা ধরা
এই জ্বালা আর সয় না।

এমন করে পুরাও কেনো
বুকের ভেতর আছর কেটে
অমন করে লুকাও কেনো
আমার কেমন কষ্ট হয়
তোমার নামে আমার সকল নষ্ট হয়।
রাতগুলো সব চুপসে যায়
কাব্যগুলো হারিয়ে যায়
তোমায় ভেবে আমার সকল
ছন্দ গুলো ব্যর্থ হয়।

তোমারও কি এমন হয়!
বেলাগুলো অবেলাতে হারিয়ে যায়!
আমার নামে আরাম ঘুম হারাম হয়!
তোমারও কি দিনগুলো সব
পানসে হয়!
আমার নামে বুকের ভেতর
অচিন এক অসুখ হয়!






short bengali drama script

বৈশাখীর আত্তচিতকার | Boishakher Bangla Kobita

বৈশাখীর আত্তচিতকার

-------------------------------------------------------
বান্দরবন থেকে সুন্দরবন
আমি দেখেছি কিছু মুখোসধারি পশু
লেজ কাটা বাদর
হরিণির মত সুনয়না সাবালিকা।
খবরের কাগজে ছাপা হয় করুণ চিত্‍কার
জানোয়ার গুলো মুখোশের আড়ালে থেকে যায়।
নদিমাতৃক এই বাংলাদেশে একটা সাগর আছে
হয়তো কিশোরির আত্তচিত্‍কারে সাগরটাও ফুঁসে উঠবে
কিন্তু আমরা নিরব থেকে যাই
ঐই জানোয়ারদের বগলের নিচের
বালগুলোও অক্ষত থেকে যায়।
বিপুল উত্‍সাহ উদ্দিপনায় আসছে পহেলা বৈশাখ
আরতো মাত্র কটা দিন
সংবাদ বুলেটিনে আসছে ব্যাপক বিনোদন
ইলিশের দামের নিচে চাপা পড়ে যাবে আবার
কোন কিশোরির করুণ চিত্‍কার
লেজকাটা বাদরগুলো মেতে উঠবে দুষ্টমিতে
বেরিয়ে আসবে মানুষের ভেতর থাকা হায়েনা
কোন অক্ষ্যাত কিশোরি করবে দখল
খবরের কাগজের প্রথম পাতা ।
ধর্ষক এই সমাজ হাততালি দেবে
নাপুংষকের মত clap everybody clap,
মহাসমারহে আসছে
১৬ কোটি মানুষের প্রাণের উত্‍সব
আসছে বাঙ্গালির প্রাণের উত্‍সব।
আবার কি কোন কিশোরির সতিচ্ছেদের
মধ্যদিয়ে হবে বর্ষ বরণ!
কান্নার বিলাপ ঢাকা পড়বে
দূর মাইকে বেজে ওঠা রবি ঠাকুরের গানে
"এসো হে বৈশাখ এসো এসো"


কবিতা আবৃত্তি অডিও

nogorkatha - নগর কথা- bangla kobita website


ডাইরির পাতা থেকে | dairir pata theke



ডাইরীর পাতা

আমার মনের ডাইরির পাতা                                           

আমি বরাবরই বোকা ও ভীতু ছিলাম, আজও আছি গতকালও ছিলাম। কেমন ভীতু? গতকালের কথাই ধরা যাক। একটা মেয়ে, কখনও আমি তার সামনে কখনও সে আমার, কখনো বা দুজনে পাশাপাশি হাটছি। হাতটা ধরতে চাইলে হয়তো দিত, হয়তোবা গালে এঁকে দিত পাঁচ আঙ্গুলের দাগ! মেয়েটা থমকে দাড়িয়েছিল হয়তো অকপটে কিছু তীক্ষ্ণ কথা বলতো অপমান করার চেষ্টা করত, হয়তো বা করত না। আমি তার চোখের গভীরতায় হাবুডুবু খাচ্ছি দেখে আবেগে আমার হাতটা ধরত। কোন এক পরন্ত বিকালে আমার বুকে মাথা এলিয়ে দিয়ে বলতো এভাবে তোমার বুক পাজরে আমাকে সারাজীবন বেঁধে রাখবে? আমি বলতাম, আমার বুকের জমিন ভালবাসার দামে তোমার কাছে বিক্রি করে দিছি, তুমি চাইলে অট্রালিকা বানাতে পারো চাইলে কুড়েঘর, চাইলে ধু ধু মরুভূমি, অতল সাগর অথবা সবুজ অরণ্য। বালিকা আমার বুকে মাথা রেখেয় বলতো, তোমার বুকে শুধু মাথা গোজার ঠাঁই দিও। কিন্তু আমি দাঁড়াইনি তাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেই চলে গেছি। আমার বুকে সে সাহস টুকু ছিল না।

অথবা আজকের কথাই ধরা যাক, মেয়েটা হুরপরি টাইপ কিছু না তবে আমার কল্পনায় যেমন মেয়ে আসে ঠিক তেমন। কলঙ্ক কি সুন্দরর্য বৃদ্ধি করে! চাঁদ সুন্দর চাঁদের কলঙ্ক আছে, তাজমহল সুন্দর তাজমহলের পেছেনেও কুৎসিত কাহীনি আছে। মেয়েটার ঠোটের নিচে ছোট্ট তিলটা কি কলঙ্ক! নাকি প্রকৃতি মেয়েটার মুখে ছোট্ট টিপ এঁকেছে যেন নজর না লাগে। মেয়েটা পলকহীনভাবে তাকিয়ে ছিল। তার চোখে চোখ পরতেই আমিই বারবার চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলাম। আমাকে অপ্রস্তুত হতে দেখেই হয়তো মেয়েটা চলে গেল। যাবার আগে অবশ্য হাত ইশারায় বিদায় জানাল। কি এমন হত যদি মেয়টার কাছে গিয়ে নাম জানতে চাইতাম, চাইলে হয়তো ফোন নাম্বারও দিত। কিন্তু আমি চাইতে পারিনি, কেননা সে সাহস আমার আজও হয়নি।



 প্রতিশোধের গল্প


কিংবা সেই দিনের কথাই ধরা যাক, মেয়েটা রীতিমত হুরপরি। আমার বাপের জন্মেতো দুরের কথা, বাপ দাদা চৌদ্দ গুষ্টির জন্মেও এমন সুন্দর মেয়ে দেখিনি। অতিরিক্ত উত্তেজনায় বোধহয় বেশ জোরেই বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলেছিলাম, দেখ দেখ হুরপরি। মেয়েটার সাথে ভাল মানুষ গোছের একটা ছেলে হয়তো ভাই! কেননা প্রেমিক টাইপ মনে হচ্ছিল না। ছেলেটা আমাকে উদ্দেশ্য করেই বলেছিল, কোন সমস্যা? আমি মাথা নুইয়ে মিনমিনে গলায় বলেছিলাম না কোন সমস্যা নেই। আমি সেইদিনও বলতে পারিনি 'আমার জানামতে হুরপরি থাকে বেহেস্তে উনি বোধহয় ভুল করে পৃথিবীতে এসেছেন, আমি আগে কখনও হুরপরি দেখিনি সমস্যা বলতে এইটুকুই'। কি এমন হত বললে, হয়তো ভাল মানুষ গোছের ছেলেটা রেগে অভদ্র হত, আমার কলার চেপে ধরতে চাইতো, দু-চারটে চড় থাপ্পড় মারতো। মেয়েটার চোখে ভয়, হয়তো আমার জন্য একটু মায়া ফুটে উঠতো । এমন মেয়ের জন্য হাসতে হাসতে জীবন দেওয়া যায়, কিন্তু আমার র্হাটটাই একটু দূর্বল তাই সেই দিন চড় খেতে পারিনি।

তপ্ত রোদে পুড়ে পুড়ে আমি যখন নিঃস্বেশ একটু পানির আশায় চেয়ে থাকি, ঈষাণ কোণ থেকে গুড়ুম গুড়ুম শব্দে ভেশে আসে কালো মেঘ, আমি ভয় পাই ঘোরের কোণে লুকিয়ে পরি এই বুঝি শুরু হয় কাল বৈশাখী ঝড়। আমার আর বৃষ্টিতে ভেজা হয় না ভালবাসায় সিক্ত হওয়া হয় না। কেনো এময় হয় ? ঐযে বললাম আমি একটু ভিতু আমার র্হাটটাই একটু দূর্বল।


Film Script পড়তে এখানে ক্লিক করুন

nogorkatha - নগর কথা - bangla golpo - গল্প 

stand up comedy bangladesh

কমন চেহারা বিড়ম্বনা

আমার চেহারাটা খুব কমন টাইপের। কি করে বুঝলাম? অন্তত কম করে হলেও কমপক্ষে 10 থেকে 15 জন বলেছে আমি নাকি দেখতে তাদের পরিচিত কোন এক জনের মত। কারো ভাই, কারো বন্ধু কারো বা সন্তান দেখতে ঠিক আমার মত। একবার আচমকা একটা থাবা এসে পরল আমার পিঠে আমি ঘুরে তাকাতেই দেখি বিরাট সাইজের একটা লোক ৩২টা দাঁত বের করে হাসছে। আমার মেজাজতো তখন চরমে। ইচ্ছা করছিল একটা ঘুষি দিয়ে বেটার নাক ফাঁটিয়ে দেই কিন্তু লোকটার সাইজ দেখে ইচ্ছাটাকে দমন করলাম। লোকটা হাসতে হাসতেই বলল, কিরে ব্যাটা কেমন আছিস? আজকালতো তোকে দেখায় যায় না, কই থাকিস বলতো? সত্যি কথা বলতে কি থাবাটা এতই জোরে ছিল যে আমি কিছুক্ষনের জন্য কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলাম। এমনিতেই শরিরে মাংস নেই সমান্য কিছু হাড্ডি চামড়াটা বেধেঁ রেখেছে। এই শরীরে থাবাটা হজম করতে আমার বেশ কষ্টই হয়েছিল। আমি নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম সরি, আমি কি আপনাকে চিনি? লোকটা দেখলাম বেশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছে, মুখটা কাচুমাচু করে বলল সরি আসলে আপনার চেহারা অনেকটা আমার বন্ধুর মত। আমি মিনমিন করে বললাম সেটা ঠিক আছে, কিন্তু থাবাটা একটু আস্তে মারলেও পারতেন। মাঝে মাঝেই আমাকে নাকি অনেক জায়গায় দেখা যায় এমন কি যেসব জায়গায় আমি আমার বাবার জন্মেও যায়নি। অনেকে নাকি থানার সন্ত্রাসীর টপ চার্টেও আমাকে দেখেছে। একজনতো বলেই বসল


short bengali drama script                              bangla kobita


: কিরে ব্যাটা তুই এখানে ক্যান? তোর না জেলে থাকার কথা!
আমি আঁকাশ ফুড়ে পাতাল ভেদ করে জমিনে পড়ার মত হতবাক হয়ে বললাম
- কেন জেলে কেন?
: আরে ব্যাটা চুরি করবি আর জেলে থাকবি না!
আমিতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম, আমার মত ভালো ছেলে গুগলে সার্চ করেও পাওয়া যাবে না আর আমি নাকি করেছি চুরি! আমি গলায় অতিরিক্ত মাধুর্য ডেলে বললাম
- সরি আপনার বোধয় কোথাও ভুল হচ্ছে! (বলা তো যায় না চোর ভেবে গণধৌলায় ও দিতে পারে)
লোকটা বেশ সময় নিয়েই আমাকে পর্যবেক্ষণ করে বলল
: সরি, আসলে আপনি দেখতে একদম আমার এলাকার নামকরা চোর মজিদ এর মত ।





যাক অবশেষে লোকটার ভুল ভাঙ্গলো আমিও হাফ ছেড়ে বাচঁলাম। এই কমন চেহারা নিয়ে কি বিপদেই না পড়েছি! তবে শুধু চোর সন্ত্রাসি নয় এক অতিশয় ভদ্রলোক নাকি আমাকে তার এলাকার চেয়্যারম্যানের চেয়ারে বসে আড়াম করে হুক্কা টানতে দেখেছে। যাক তবুও ভাল লাগলো এই চোর ছ্যাচচোরের সমাজে কেউ একজন আমাকে উচ্চপদস্থ চোরের আসনেই দেখেছে। তবে আজকাল আর সমস্যা হয় না। প্রচন্ড ভীরের মাঝেও যদি কেউ বলে, কিরে কেমন আছিস? আমি এক গাল হেসে বলি এইতো ভালো, তোর খবর কি? এমনভাবে বলি যেন সে আমার কতকালের চেনা। অবশ্য আমাকে তেমন কিছু বলতে হয় না ওরাই সব বলে। আমি শুধু তালের সাথে তাল মিলায়। অনেকই আছে যারা হয়তো এখনো জানেনা যে, সে ভুল করে ভুল মানুষের কাছে এমন কিছু বলেছে যা কখনোই বলা উচিত্‍ নয়। এই কমন চেহারা বিড়ম্বনা আজো চলছে। শুধু একটাই আফসোস থেকে গেল আজ পর্যন্ত কোন রমণি এসে বলেনি আপনি দেখতে একদম আমার স্বামীর মত। কোন সাবালিকা এসে ভুল করে হাত ধরেনি, বলে নি সরি আসলে আপনি দেখতে একদম আমার প্রেমিকের মত। আচ্ছা আমার মত চেহারার লোকদের কি প্রমিকা থাকে না! লাল টুকটুকে শাড়ি পড়ে ভালবাসার নঁকশী কাঁথা বুনা লাজুক রাঙ্গা বউ থাকে না! আবশ্য অনেকেই বলে আমার চেহারা নাকি বাদরের মত তারাও হয়তো মানুষ হতে পারেনি। সাধে কি আর বলি আমার চেহারা খুবি কমন দেখেন কেমন বাদরের সাথেও মিলিয়ে দিল।

nogorkatha - নগর কথা - 


ভালোবসার প্রতিশোধের গল্প

কষ্টের ভালবাসার গল্প | koster valobasar golpo

যন্ত্রণায় কাতঁরাই

কষ্টের প্রেমের গল্প

ফাযলামির সীমা থাকলেও সীমার ফাযলামি গুলো কখনওই শেষ হত না। হটাৎ রিক্সা ভাড়া দিতে গিয়ে দেখতাম ম্যানিব্যাগে কোন টাকা নেই ছোট্ট একটা চিরকুটে লেখা 'কি জনাব মনে পড়লো আমাকে! বলেছিলাম না! ভুলতে দেব না'। অজব! পুরাই ফাজিল মেয়ে, একে দুই বেলা নিয়ম করে থাপড়ানো দরকার। হটাৎ মাঝ রাতে অক্লান্তিকর ভাবে আমার ফোনটা বেজেই চলতো, আমি ঘুম জড়ানো চোখ নিয়ে ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসতো একটা নরম মধুর কন্ঠ। কড়া ধমকের সুরে বলতো 'কি খুব ঘুমানো হচ্ছে না!' আমি বিরক্তির ভান করে বলতাম 'আজব মধ্য রাতেতো মানুষ ঘুমায়, নাকি! মাঝ রাতেতো আর কেউ ফুটবল খেলে না।' সে অভীমানি সুরে বলতো 'আমার ঘুম আসছে না।' আমি বিরক্তি হবার ভান রেখেই বলতাম 'তো আমি কি করব! আমাকে ঘুমাতে দাও।' সে ধমকের সাথে অভীমান মিশিয়ে বলতো 'উহু, আমার ঘুম আসছে না আর তুমি নাক ডেকে ঘুমাবা! তা হবে না। আমার সাথে তোমাকেও জাগতে হবে'। কোন মন্ত্রেই সে আর পোষ মানতো না। আগত্যা আমাকেই জেগে থাকতে হত, ছাগলের পাতা চিবানোর মতই আমাকে তার সাথে বকর বকর করতে হত। আমার কিন্তু খারাপ লাগতো না। যন্ত্রণা পীড়াদায়ক হয়, কিন্তু আমাকে প্রেরণা দিত। কোন কোন বিকালে সে আমার কাঁধে চুল এলিয়ে দিয়ে বলতো 'আমি তোমাকে অনেক যন্ত্রণা দেই, না!' আমার ঠোঁটের হাসি প্রশস্থ হত। সে নিজে থেকেই আবার বলতো 'দেখো একদিন আমি সুবোধ বালিকা হয়ে যাব, তোমাকে আর যন্ত্রণা দেব না' আমার ঠোঁটের হাসি হাওয়ায় মিলিয়ে যেত। আমাদের প্রেম সম্পূর্ণ এক গল্পের মতই ছিল, সব গল্পের যেমন শেষ হয় আমাদেরও হল। তার উচ্চভীলাসি চাওয়ার কাছে আমার ভালোবাসা সিগারেটের ধৌয়ার মত উড়ে গেল। সেই থেকে সিগারেট টাই সঙ্গী হল, সিগারেটের সাথে আমার অনেক মিল, সিগারেটও জ্বলে আমিও জ্বলি। আজ তার সব হয়েছে, একটা গোছানো ঘর, সাজানো সংসার, কোল আলো করা ফুটফুটে একটা সন্তান। শুধু আমি সব হারিয়েছি। এখন সে সুবোধ গৃহীণি, আমাকে একদম জ্বালায় না। আমি বেশ শান্তিতেই আছি। এখন মাঝ রাতে আর কেউ ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙ্গায় না, তবুও রাতের পর রাত আমি জেগে থাকি। এখন রিক্সার ভাড়া দিতে গিয়ে আর কারো কথা মনে পরে না, তবুও প্রতিটা নিঃস্বাশে কেনো জানি একটা দীর্ঘনিঃস্বাশ বেড়িয়ে যায়। এখন আমি বেশ ভালো আছি, শান্তিতে আছি। আচ্ছা, শান্তিতো আনন্দায়ক তবুও কেন আমাকে পীড়াদেয়? প্রতিটা দিন, প্রটিটা রাত, প্রতিটা নিঃস্বাশে আমি যন্ত্রণায় কাতঁরাই.........।।

nogorkatha - নগর কথা 


প্রে

ভালবাসার গল্প

ঐ মিয়া আপনার কি গুড়া কৃমি আছে, কামরায়? এত পেচাল পারেন ক্যান? নিজের কাজে যান। বেশি কথা কইলে প্যান খুলে হাতে ধইরা দিমু।
আশফাকুর রহমান হচকচিয়ে গেলেন এই এলাকায় এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি যে দিন বাড়ী ভারা নিতে আসেন সেদিন অনেকই বলেছে কিন্তু মিসেস রাহমান কিছুই শোনেনি। আশফাকুর কত করে বললেন এই এলাকায় আসার দরকার নাই। কিন্তু কে শোনে কার কথা। মিসেস রাহমান জিদ ধরলেন তিনি এই এলাকায় এবং এই বাড়ীতেই থকবেন। অগত্যা আশফাকুর রাহমান কে এই এলাকায়ই থাকতে হল। অতঃপর তিনি বুঝতে পারলেন যে তিনি এই জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন। আসলে মেয়ে মানুষের কথা শোনাই ভুল। এজন্যই বলে মেয়ে মানুষের বুদ্ধি থাকে হাটুর নিচে। এইযে বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত হলাম তা তো এই নারীরই ভুলে। আশফাকুর রহমান এখন যে বিপদে পড়েছেন তা তো বউ এর করণেই। পিচ্চি একটা ছেলে বলে কিনা প্যান্ট খুলে হাতে ধরে দিবে। ছোট বেলায় অবশ্য প্যান্ট হাতে নিয়ে ঘোরা যেত, কত ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু এই বয়সে প্যান্ট হাতে নিয়ে ঘোরাটা ঠীক মানাবে না তাছারা তিনি একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন, তাঁর একটা মান-স্মমান আছে না! এখন না হয় রিটায়ার করেছেন তাই বলে তো আর প্যান্ট হাতে নিয়ে ঘুরে বেরাতে পারেন না। তাছারা প্যান্ট খুলার মত কোন ঘটনা ঘটেছে কি! তিনি তো তেমন কিছু বলেননি, ছেলেটার সাথে ধক্কা লেগে তাঁর পাঞ্জাবী ছিরে গেছে, তিনি শুধু বলেছেন এই ছেলে দেখে চলতে পারো না। এটাকি প্যন্ট খুলে হাতে ধরিয়ে দেবার মত কোন অপরাধ! আশফাকুর রাহমান বুঝতে পারছেন না, তিনি কি করবেন, এই ছেলের সাথে তর্ক চালিয়ে যাবেন না এড়িয়ে যাবেন! এরকম বেয়াদব ছেলের সাথে তর্ক চালিয়ে যাবার কোন মানেই হয়না। তাছাড়া তর্ক করলে হিতে বিপরিত হতে পারে তাই আশফাকুর রহমান ছেলেটাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে হাটা শুরু করলেন। ছেলেটা মনে হয় আশফাকুর রহমানের এমন পরাজয়ে আরও বেশি প্রশয় পেল আরও উচ্ছাস নিয়ে বলল কি আংকেল ভয় পাইছেন? আশফাকুর রহমান রাগে গজগজ করতে করতে বাড়ীর দিকে ছুটলেন।
বাড়ীটা মিসেস রহমানের বেশ পছন্দ হয়েছে। দুই রুমের ফ্ল্যাট, প্রসস্ত বারান্দা, দক্ষিণা মুখি জানালা। জানালা দিয়ে হু হু করে বাতাস আসে। ঢাকা শহরে এ রকম বাড়ী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। মিসেস রাহমান এই বাড়ীতে এসে বেশ খুশি। আশফাকুর রাহমান বউয়ের হাসি মুখ দেখে সব ভুলে গেলেন। তাঁরা নিঃসন্তান, এই নিয়ে মিসেস মিসেস রহমানের কত আক্ষেপ! বলতে গেলে সারাক্ষণ মনমরা হয়ে বসে থাকত। আজ কতদিন পর আশফাকুর রহমান তাঁর বউয়ের হাসি মুখ দেখলেন। তাছাড়া মিসেস রাহমানের হাসিতে অন্য রকম এক ভালোলাগা আছে। রবীন্দ্রনাথ হয়তো এরকম হাসি মুখ দেখেই বলেছিলেন "কাহারো হাসি ছুরির মাত কাটে কাহারো হাসি অশ্রুজলের মত"। আশফাকুর রাহমানের কেবল একটা কথায় মনেহল এরকম হাসি মুখ দেখার জন্য তিনি এই বয়সেও প্যান্ট হাতে নিয়ে ন্যাংটো হয়ে পুরো ঢাকা শহর ঘরতে পারেন।

bengali short story script আত্তচিত্র