FreeWebSubmission.com

৭ সেপ, ২০১৯

কষ্টের ভালবাসার গল্প | koster valobasar golpo

যন্ত্রণায় কাতঁরাই

কষ্টের প্রেমের গল্প

ফাযলামির সীমা থাকলেও সীমার ফাযলামি গুলো কখনওই শেষ হত না। হটাৎ রিক্সা ভাড়া দিতে গিয়ে দেখতাম ম্যানিব্যাগে কোন টাকা নেই ছোট্ট একটা চিরকুটে লেখা 'কি জনাব মনে পড়লো আমাকে! বলেছিলাম না! ভুলতে দেব না'। অজব! পুরাই ফাজিল মেয়ে, একে দুই বেলা নিয়ম করে থাপড়ানো দরকার। হটাৎ মাঝ রাতে অক্লান্তিকর ভাবে আমার ফোনটা বেজেই চলতো, আমি ঘুম জড়ানো চোখ নিয়ে ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসতো একটা নরম মধুর কন্ঠ। কড়া ধমকের সুরে বলতো 'কি খুব ঘুমানো হচ্ছে না!' আমি বিরক্তির ভান করে বলতাম 'আজব মধ্য রাতেতো মানুষ ঘুমায়, নাকি! মাঝ রাতেতো আর কেউ ফুটবল খেলে না।' সে অভীমানি সুরে বলতো 'আমার ঘুম আসছে না।' আমি বিরক্তি হবার ভান রেখেই বলতাম 'তো আমি কি করব! আমাকে ঘুমাতে দাও।' সে ধমকের সাথে অভীমান মিশিয়ে বলতো 'উহু, আমার ঘুম আসছে না আর তুমি নাক ডেকে ঘুমাবা! তা হবে না। আমার সাথে তোমাকেও জাগতে হবে'। কোন মন্ত্রেই সে আর পোষ মানতো না। আগত্যা আমাকেই জেগে থাকতে হত, ছাগলের পাতা চিবানোর মতই আমাকে তার সাথে বকর বকর করতে হত। আমার কিন্তু খারাপ লাগতো না। যন্ত্রণা পীড়াদায়ক হয়, কিন্তু আমাকে প্রেরণা দিত। কোন কোন বিকালে সে আমার কাঁধে চুল এলিয়ে দিয়ে বলতো 'আমি তোমাকে অনেক যন্ত্রণা দেই, না!' আমার ঠোঁটের হাসি প্রশস্থ হত। সে নিজে থেকেই আবার বলতো 'দেখো একদিন আমি সুবোধ বালিকা হয়ে যাব, তোমাকে আর যন্ত্রণা দেব না' আমার ঠোঁটের হাসি হাওয়ায় মিলিয়ে যেত। আমাদের প্রেম সম্পূর্ণ এক গল্পের মতই ছিল, সব গল্পের যেমন শেষ হয় আমাদেরও হল। তার উচ্চভীলাসি চাওয়ার কাছে আমার ভালোবাসা সিগারেটের ধৌয়ার মত উড়ে গেল। সেই থেকে সিগারেট টাই সঙ্গী হল, সিগারেটের সাথে আমার অনেক মিল, সিগারেটও জ্বলে আমিও জ্বলি। আজ তার সব হয়েছে, একটা গোছানো ঘর, সাজানো সংসার, কোল আলো করা ফুটফুটে একটা সন্তান। শুধু আমি সব হারিয়েছি। এখন সে সুবোধ গৃহীণি, আমাকে একদম জ্বালায় না। আমি বেশ শান্তিতেই আছি। এখন মাঝ রাতে আর কেউ ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙ্গায় না, তবুও রাতের পর রাত আমি জেগে থাকি। এখন রিক্সার ভাড়া দিতে গিয়ে আর কারো কথা মনে পরে না, তবুও প্রতিটা নিঃস্বাশে কেনো জানি একটা দীর্ঘনিঃস্বাশ বেড়িয়ে যায়। এখন আমি বেশ ভালো আছি, শান্তিতে আছি। আচ্ছা, শান্তিতো আনন্দায়ক তবুও কেন আমাকে পীড়াদেয়? প্রতিটা দিন, প্রটিটা রাত, প্রতিটা নিঃস্বাশে আমি যন্ত্রণায় কাতঁরাই.........।।

nogorkatha - নগর কথা 


প্রে

ভালবাসার গল্প

ঐ মিয়া আপনার কি গুড়া কৃমি আছে, কামরায়? এত পেচাল পারেন ক্যান? নিজের কাজে যান। বেশি কথা কইলে প্যান খুলে হাতে ধইরা দিমু।
আশফাকুর রহমান হচকচিয়ে গেলেন এই এলাকায় এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে। তিনি যে দিন বাড়ী ভারা নিতে আসেন সেদিন অনেকই বলেছে কিন্তু মিসেস রাহমান কিছুই শোনেনি। আশফাকুর কত করে বললেন এই এলাকায় আসার দরকার নাই। কিন্তু কে শোনে কার কথা। মিসেস রাহমান জিদ ধরলেন তিনি এই এলাকায় এবং এই বাড়ীতেই থকবেন। অগত্যা আশফাকুর রাহমান কে এই এলাকায়ই থাকতে হল। অতঃপর তিনি বুঝতে পারলেন যে তিনি এই জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন। আসলে মেয়ে মানুষের কথা শোনাই ভুল। এজন্যই বলে মেয়ে মানুষের বুদ্ধি থাকে হাটুর নিচে। এইযে বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত হলাম তা তো এই নারীরই ভুলে। আশফাকুর রহমান এখন যে বিপদে পড়েছেন তা তো বউ এর করণেই। পিচ্চি একটা ছেলে বলে কিনা প্যান্ট খুলে হাতে ধরে দিবে। ছোট বেলায় অবশ্য প্যান্ট হাতে নিয়ে ঘোরা যেত, কত ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু এই বয়সে প্যান্ট হাতে নিয়ে ঘোরাটা ঠীক মানাবে না তাছারা তিনি একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন, তাঁর একটা মান-স্মমান আছে না! এখন না হয় রিটায়ার করেছেন তাই বলে তো আর প্যান্ট হাতে নিয়ে ঘুরে বেরাতে পারেন না। তাছারা প্যান্ট খুলার মত কোন ঘটনা ঘটেছে কি! তিনি তো তেমন কিছু বলেননি, ছেলেটার সাথে ধক্কা লেগে তাঁর পাঞ্জাবী ছিরে গেছে, তিনি শুধু বলেছেন এই ছেলে দেখে চলতে পারো না। এটাকি প্যন্ট খুলে হাতে ধরিয়ে দেবার মত কোন অপরাধ! আশফাকুর রাহমান বুঝতে পারছেন না, তিনি কি করবেন, এই ছেলের সাথে তর্ক চালিয়ে যাবেন না এড়িয়ে যাবেন! এরকম বেয়াদব ছেলের সাথে তর্ক চালিয়ে যাবার কোন মানেই হয়না। তাছাড়া তর্ক করলে হিতে বিপরিত হতে পারে তাই আশফাকুর রহমান ছেলেটাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে হাটা শুরু করলেন। ছেলেটা মনে হয় আশফাকুর রহমানের এমন পরাজয়ে আরও বেশি প্রশয় পেল আরও উচ্ছাস নিয়ে বলল কি আংকেল ভয় পাইছেন? আশফাকুর রহমান রাগে গজগজ করতে করতে বাড়ীর দিকে ছুটলেন।
বাড়ীটা মিসেস রহমানের বেশ পছন্দ হয়েছে। দুই রুমের ফ্ল্যাট, প্রসস্ত বারান্দা, দক্ষিণা মুখি জানালা। জানালা দিয়ে হু হু করে বাতাস আসে। ঢাকা শহরে এ রকম বাড়ী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। মিসেস রাহমান এই বাড়ীতে এসে বেশ খুশি। আশফাকুর রাহমান বউয়ের হাসি মুখ দেখে সব ভুলে গেলেন। তাঁরা নিঃসন্তান, এই নিয়ে মিসেস মিসেস রহমানের কত আক্ষেপ! বলতে গেলে সারাক্ষণ মনমরা হয়ে বসে থাকত। আজ কতদিন পর আশফাকুর রহমান তাঁর বউয়ের হাসি মুখ দেখলেন। তাছাড়া মিসেস রাহমানের হাসিতে অন্য রকম এক ভালোলাগা আছে। রবীন্দ্রনাথ হয়তো এরকম হাসি মুখ দেখেই বলেছিলেন "কাহারো হাসি ছুরির মাত কাটে কাহারো হাসি অশ্রুজলের মত"। আশফাকুর রাহমানের কেবল একটা কথায় মনেহল এরকম হাসি মুখ দেখার জন্য তিনি এই বয়সেও প্যান্ট হাতে নিয়ে ন্যাংটো হয়ে পুরো ঢাকা শহর ঘরতে পারেন।

bengali short story script আত্তচিত্র

1 টি মন্তব্য:

  1. nice post friends _ visit my post -
    https://chhotagolpo.com/category/%E0%A6%95%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA/

    উত্তরমুছুন