FreeWebSubmission.com

২১ মার্চ, ২০২০

oslil kobita

কবিতা, গল্প, স্ক্রিপ্ট

                                             অশ্লীল কবিতা

আমি তোমাকে উপুর্যপরি ধর্ষণ করবো
তাই খুলে ফেলছি শব্দের আবরণ
বের করে আনছি নগ্ন উদ্রৃত শব্দ,
পড়িয়ে দিচ্ছি জন্ম নিরোধ
যেন আর কোন জারজ জন্ম না নেয় ।

আমি শব্দে শব্দে তোমায় ধর্ষণ করবো

তুমি তৈরী থেকো
যোনি চিরে সতীচ্ছেদের রক্তে
পবিত্র করবো ইতিহাস,
তোমার বুক পাজরে বসিয়ে দেব
লালায়িত কামড়ের দাগ.
তুমি তৈরী থেকো সভ্যতা
আমার উথিত শব্দরা বড্ডো বেহায়া
ধর্ম-যাজকদের শাসন মানে না।
তোমায় কামনার লালায় মাখিয়ে
ছেড়া নগ্ন দেহ ফেলে দেব ডাস্টবিনে
তারপর, মোল্লা-পুরোহিতের মত
আমিও বলে দেব, যার চলন বাঁকা
ধর্ষণী তার উৎকৃষ্ট পন্থা।
তোমার ছিনালিপনা, তোমার ছলাকলা
রঙ্গ মঞ্চে উন্মুক্ত নগ্নতা
এসবে উত্তেজিত হয়ে ওঠে
আমার নির্লজ শব্দরা, সংযম মানে না।
তোমাকে পৈশাচিক ধর্ষণ করে
রাষ্ট্রকে জানিয়ে দেব
এই বেশ্যালয়ের কাউকেই আমি ছাড়বো না।

আমার উথিত শব্দরা

ক্ষমতার পোঁদ ফাটাতেও ডরবে না।


                                                        খাবো খাবো দুনিয়া খাবো

খাবো খাবো দুনিয়া খাবো
মদ- গাজা সবি খাবো
মায়ের বকুনি খাবো
বাবার পেদানী খাবো
খাবো খাবো দুনিয়া খাবো।

প্রেমিকার দেহ খাবো

ভালোবাসার বিষ খাবো
চাঁদের জোস্না খাবো
আমাবস্যার আঁধার খাবো
খাবো খাবো সবি খাবো
তারা গুলাও চিবিয়ে খাবো
মায়ের বকুনি খাবো
বাবার পেদানি খাবো
যা পাবো তাই খাবো।

অমৃতে অসাড় রবো

অসুখে বিসুখ হবো
তবু আমি দুনিয়া খাবো,
ক্ষুধার অসুর পেটে আমার
চাড়ি চাড়ি খাবার দাও
নইলে রাণী তোমায় খাবো
মানবতার রক্ত খাবো
ক্ষমতার সিংহাসন খাবো।

ক্ষুধার আগুন বাড়লে পরে

এ জগৎ সংসার খাবো
আস্ত ব্রহ্মা চিবিয়ে খাবো
ধর্মটাকেও খেয়ে নেব
লাগলে ঝাল চোখেরি জল খাবো
খাবো খাবো সবি খাবো
নষ্ট বুকে মাতাল রবো
মদ গাজা সবি খাবো
মায়ের বকুনি খাবো
বাবার পেদানি খাবো
খাবো খাবো দুনিয়া খাবো।



Bangla koster kobita


                                             সভ্যসাচি

তারপর আমি নগ্ন হই
শরীর থেকে খুলে ফেলি আভিজাত্যের খোলস
মুখ থেকে ঝড়ে লালা
লোভাতুর জিহ্বা বুলিয়ে নেয় আরেকটি নগ্ন শরীর
চোখ ঠিকরে বেড়িয়ে আসে
নখের আছড়, কামনার কামড়ের দাগ থেকে যায় তার বুকে
ছিরে খেতে ইচ্ছা করে গণিকালয়ের এই অপ্সরী কে।
দেহের ভারে দেহটাকে পিষে মারি
বিছানার চাঁদর যেন মানচিত্র কোন বিধস্ত নগরীর।
সমস্ত রাগ, দুঃখ, ঘৃণা বমি করে দেই
টপ টপ করে ঝড়তে থাকে খেদ, হতাশা, ক্ষোভ।
সমস্ত বিষাদের শেষে 
দুটো ৫০০ টাকার নোট মুখের উপড়ে ছুড়ে দিয়ে
পড়ে নেই মিথ্যার শ্লোগান
ঠোটের কোল জুড়ে থাকে প্রসস্ত হাসি।
নষ্ট শরীর নিয়ে হেলতে দুলতে বেড়িয়ে আসি
নিকোটিনে হৃদয় জ্বালিয়ে দেখি
কালো পিচের রাস্তা স্রোতে ভেশে যাচ্ছে, অজানায়.......
অন্ধকার গিলে খাচ্ছে সমস্ত শহরটাকে।
মদের নেশা মাথা তুলে দাঁড়ায়
পরিচিত পথ কেমন অচেনা দেখায়।
গলির মোড়ে এসে দাড়াতেই
কুকুরটা ভুগিয়ে ওঠে
আমি কলহলে জড়িয়ে পরি
খিস্তি দিতে দিতে পৌছে যাই সদর দরজায়।
কলিং বেলে হাত রাখি
মাথার ভেতর ঘুরতে থাকে অযাচিত শব্দ।
দরজা খুলে অপেক্ষারত দুটি চোখ আমাকে পর্যবেক্ষণ করে
আমার অসজ্য লাগে, শান্ত দেহটাকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পরি।
টেবিলের ওপর সাজানো খাবার দেখে ঘোর লাগে
পাপ বোধ জাগে সমস্ত হৃদয় জুড়ে।
তড়িঘড়ি করে বেড রুমের দিকে ছুটি
বিছানার ওপর আছরে ফেলি পাপিষ্ঠ শরীর
সমস্ত দিনের ক্লান্তি এসে আছন্ন করে
তলিয়ে যাই অতল ঘুমের সাগরে।
ওদিকে অভীমান বাড়ে, অভিযোগের ফলা গুলো তির্যক হয়
দুঃখ বেড়িয়ে আসে দু'চোখ ভেদ করে
সঙ্গোপনে দেহের পাশে দেহ রাখে
অজ্ঞাত দুটি শরীর পাশা পাশি পড়ে থাকে।

দূরত্ব ক্রমশ বর্ধিত হয়

সম্পর্কের বেড়াজালে আটকা পড়া দুটি হৃদয় মুক্তি চায়।



                                                ভুলতে চাই


রংচঙ্গা ঠোটে লাস্যময়ি হাসির আড়ালে
এক জীবনের দীর্ঘনিশ্বাস চেপে রাখা
নিশিকন্যার শরীরে দিশেহারা
ক্ষোভ বমি করে দিয়ে তোকে ভুলতে চাই, 
এলকোহলের বন্যায় লিভারটাকে পচিয়ে
গাজার গন্ধে নিজেকে বিসর্জন দিয়েও তোকে ভুলতে চাই। 
যে হৃদয়ে তোর পাকাপোক্ত আবাসস্থল ছিল
তা বিষাক্ত নিকোটিনের ধৌয়ায়
কানায় কানায় পূর্ণ করি 
কেবল তোকে ভুলতে চাওয়ায়
এড়িয়ে যাই চেনা গলিপথ 
পরিচিত বারান্দা, চির চেনা মুখ
এড়িয়ে যাই ব্রেণের সেলে জমে থাকা সৃতি, পুরোনো অতীত
এড়িয়ে যাই তোর অস্তীত্ব, এড়িয়ে যেতে চাই তোর আসক্তি। 
আসক্ত হয়ে পরি বেশ্যার রঙ্গে ঢঙ্গে
আসক্ত হয়ে পরি মাতালের আসরে
লিভারটাকে মদের বোতলে ডুবিয়ে দিয়ে 
খিস্তীতে তোকে ধর্ষণ করে
আমি আসরের মধ্যমণি হয়ে যাই ,
লাল লাল চোখ ঘীরে থাকে আমাকে
প্রসংসার কলরবে টেবিলে দু'বতল বারতি চলে আসে
গিলে খাই অমৃর্তের শেষ বিন্দু
যেমন করে গিলে খেতাম তোর ঠোটে জমানো রস, বিষাক্ত।
যে তোর হাসিতে মাতাল ছিলো
সেই আমার আমিকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করি,
ঠোটে তুলে নেয় গাজার স্টিক
দু'টানেয় ঝিম ঝিম করে, মাথা 
ক্যাবিত্ব এসে ভর করে
আমি কবি হয়ে যাই
লিখেফেলি ইতিহাসের শ্রেষ্টতম ব্যার্থ কবিতা ।
রাষ্ট্রের চোখে আমি বখাটে নামে নষ্ট হয়ে যাই
ঘুরে বেড়ায় আশুদ্ধ নগরীর এগোলি ওগোলি
কেবল তোকে ভুলতে নষ্ট খেলায় নষ্ট জীবন বাজীধরি
কেবল তোকে ভুলতে কথিত শুদ্ধ সমাজের চোখে
তীব্রঘৃণা নিয়ে আমি বার বার আত্তহত্যা করি
মরা লাশ হয়ে প্রিয় শহরে ঘুরিফিরি।

তবুও আমি ভালো থাকতাম

কেবল তোকে যদি ভুলতে পারতাম।


short bengali drama script

                                         চাটাচাটির চটি কথা

দিকে দিকে রটে গেছে
চাটুকারিতার ভাত বড়েছে
তাইতো সবাই চাটতে নেমেছে
চাটাচাটিতে তীব্র স্বাদ পেয়েছে।
কেউ পা চাটছে, কেউ গাল
কেউবা উদৃত সাবালিকার ঠোট
চাটাচাটিতে সবাই ব্যস্ত
ভুলে যাচ্ছে আপন অস্তিত্ব।
তুমি প্রগতিশীল?
তোমাকে চাটতে জানতে হবে
না জানলেও শিখতে হবে
কি বললে! রুচিতে বাধে
তুমি প্রতিক্রিয়াশীল
তোমার জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলা হবে।

যে জিহ্বা চাটতে জানে না

সেই জিহ্বা কখনই কথা বলতে পারবে না।

তোমার মোলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে

স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, গণতন্ত্র হরণ হচ্ছে?
হলে হোক, ওসব নিয়ে ভেবে কি হবে
যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে
তা হল, চাটতে জানতে হবে।
বিষাক্ত ঠোট, অথবা নষ্ট শরীর
ধুলিমাখা চরণ অথবা রক্তের কালি
কাদামাখা পাপিষ্ট দেহ অথবা
মনবতা ধর্ষণকারী যৌনাঙ্গ
তোমাকে চেটেই পরিষ্কার করতে হবে।
মনে রাখবা, রাষ্ট্রে তারাই মুখ্য
যারা চাটাচাটিতে দক্ষ।

কি বললে? তুমি চাটতে জানোনা

তোমার ঠোট কাটা! তোমার এত সাহস?
মাথা উচু করে বলো
চাটাচাটির চটি কথা বাদ দিয়ে
মূল্যবোধের মূলে নেমে আসো।
তবে শুনে রাখো,
শাসন্ত্রের ঐ শিকল তোমার জন্যে
তোমার কাটা ঠোঁট সিলাই হবে
শোধনাগার নামে কালগহ্বরে বন্দি হবে
রাষ্ট্রদ্রোহিতার আখ্যা পাবে।

তুমি কি দেখতে পাওনা

রাষ্ট্র ভেসে যাচ্ছে লালার স্রোতে।

জেনে রেখো, যদি তুমি চাটতে জানো

তবে তোমার জন্যই রাষ্ট্রের সকল দ্বার উন্মুক্ত,
চাটাচাটির চাটুতা ছাড়বে তো

দাতেল কামড়ে মরবে।


                                               দৃষ্টিকোণ

এক নারীর গর্ভে আমার জন্ম, তাতে কি?
এক নারী আমার বোন, ক্ষতি কি?
এক নারীর দেহের প্রতি আমি লোভী, পুরষ মানুষ
'উত্তাল যৌবনের ধাক্কায় নষ্ট পুরুষ'।
এক নারী আমার প্রিয়তম প্রেমিকা
যার হাত ধরে অবলীলায় করে ফেলি অজস্র প্রতিজ্ঞা,
এক নারী আমায় নিয়ে স্বপ্ন সাঁজায়
খোঁপায় বেলীফুল জরায়
লালটকটকে শাড়ী পড়ে
হাতভর্তি কাঁচের চুড়ি
কপালের মধ্য ভাগে ছোট্ট লাল টিপ
অপ্সরীর তুলনায় কম না!
তাতে আমার কি?
তবুও আমার ভালোলাগে, পাশের বাড়ীর সৌমিতা দিদি
মেয়েটা খাসা মাল কিন্তু
পাছা দুলিয়ে যখন হাটে
টপ টপ করে আমার জীব থেকে লালা ঝড়ে
আমি চোখ দিয়ে গিলে খাই তার আবৃত দেহ,
মাগীটাকে বাগে পেলে হয় একদিন
বুঝিয়ে দেব, ওড়না ছাড়া হাটা, ঝাল মিটিয়ে দেব।

এক নারী তীব্র শীতে আমায় বুকে জড়িয়ে রাখে

এক নারীর আশ্রয়ে আমার নিঃশ্বাস বাড়ে
এক নারী আমার লম ভর্তি বুকে আশ্বাস খোঁজে
ধূর, বাল যতসব,
এক নারীর দেহে দেখি আমি মাংসের তুফান
এক নারীর দেহে খুঁজি যৌণতার স্বাদ ।

এক নারী আমার মেয়ে হতে পারতো!

এক নারী আমার ঘরের লক্ষি হতে পারতো!
হয়নি,
নারী কেবলি উথিত লিঙ্গের দাবানলে পুরতে থাকা একদলা নরম মাংসপিণ্ড।


ভালোবসার প্রতিশোধের গল্প

১০ অক্টো, ২০১৯

short bengali drama script

থুতু  (Split)

বাস্তব জীবনের গল্প:

দৃশ্যঃ১
চরিত্রঃ দারোয়ান, আফজল হোসেন, জয়
স্থানঃ আফজাল হোসেনের ড্রইং রুম
সময়ঃ দিন

দেয়ালে এক জন বন্দুক ধারী জমিদারের ছবি ঝুলছে তার নিচেই একটা বাঘের শো পিস। হালকা বাতাসে দরজার পর্দা কাঁপছে। দারোয়ান হাত জুরাজুরি করছে।
দারোয়ানঃ স্যার টাকাটা না হলে ছেলেটাকে বাঁচাতে পারুম না। দয়া করেন স্যার।

আফজাল সাহেবঃ (মুখের ওপর থেকে পত্রিকাটা সরিয়ে টেবিলের উপর রেখে সিগারেটের প্যকেট থেকে একটা সিগারেট আর লাইটারটা নিয়ে জানালায় গিয়ে দাড়াবে। সিগারেট ধরিয়ে একরাশ ধোয়া জানালা দিয়ে বাহিরে খোলা আঁকাসের দিকে ছাড়বে।
গলাটা যথেষ্ট গম্ভীর করে বলবে) তোমাকে তো বেতন দেওয়া হয়, হয় না! যখন তখন টাকা চাওয়ার অভ্যাশ বাদ দাও
আমি তো আর টাকার গাছ লাগায়নি, লাগিয়েছি! বেতন ছাড়া তোমাকে কোন টাকা দেওয়া হবে না যাও নিজের কাজে
যাও। দারোয়ান ঘুরে বাহিরের দরজার দিকে যাবে। আফজাল সাহেব আবার বলে উঠবে

আফজাল সাহেবঃ এসব ছোটলোকদের স্বভাব কখনো বাদলাবে না বলেই তিনি সিগারেটে একটা টান দিয়ে খুক খুক করে কেশে
জানালার বাহিরে একদলা থুতু ফেলবেন।)
আফজাল সাহেবের কথাটা শুনেই দারোয়ান থমকে দাঁড়াবে। মাথাটা ঘুরিয়ে আফজাল সাহেবের দিকে তাকাতে যেয়ে দেখবে ভেতরের দরজায় আফজাল সাহেবের ছোট্ট ছেলে জয় দাঁড়িয়ে আছে, তার দিকেই তাকিয়ে আছে। দারোয়ানের চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা পানি ঝড়বে। কান্নার বেগ বৃদ্ধি পেতেয় দারোয়ান বাহিরে চলে যাবে। জয় দারোয়ানের দিক থেকে মুখটা তার বাবার দিকে ফিরিয়ে দেখবে বাবা আরাম করে সিগারেটে টান দিচ্ছে আর মুখ ভর্তি ধোঁয়া জানালা দিয়ে বাহিরে খোলা আঁকাসের দিকে ছুড়ছে। জয় ড্রইং রুমের দরজা ছেড়ে নিজের রুমের দিকে যাবে।


bengali short story script আত্তচিত্র


দৃশ্যঃ২
চরিত্রঃ জয়, রফিক
স্থানঃ জয়ের ঘর, জানালা, জানালার নিচের ফুটপাথ( রাস্তা)
সময়ঃ বিকেল

জয়ঃ (জয় নিজের ঘরে ঢুকে বিছানার উপর দেখবে একটা টেডি বেয়ার। সে টেডি বিয়ারটা হাতে তুলে নিয়ে বলবে।) এসব
ছোটলোকদের স্বভাব কখনো বাদলাবে না, থু।
জয় টেডি বেয়ারের মুখে একদলা থুতু ছিটিয়ে টেডি বেয়ারটা ছুরে মারবে। টেডি বেয়ারট জানালায় ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়বে। জয়ের চোখ জানালায় আটকে যাবে। সে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়াবে, টেডি বেয়ারটাকে একটা লাথি মেরে জানালা দিয়ে নিচে ফুটপাথের দিকে তাকাবে। ঠীক তখনি জানালার নিচ দিয়ে রফিক যাচ্ছিলো। উস্কোখুস্কো চুল, মুখে খোচাখোচা দাড়ি, ময়লা জীন্স প্যন্ট, কুচকানো সার্ট, ছেড়া চটি। রফিক যখন ঠীক জানালার নিচে তার মাথার একদম সামনে একদলা থুতু পড়ে ছিটে যাবে। রফিক থমকে দাঁড়াবে। উপর দিকে তাকিয়ে দেখবে একটা ফুটফুটে বাচ্চা ছেলে তার দিকে তাকিয়ে আছে মুখে শয়তানি হাসি।
জয়ের মুখ থেকে হাসি সরে গয়ে সেখানে কৌতহল, কৌতহল থেকে সেখানে রাগ ফুটে উঠবে। নিচ থেকে রফিক উপর দিকে জয় কে উদ্দেশ্য করে থুতু ছুড়বে। জয় রেগে যাচ্ছে দেখে দ্বিগুণ উৎসাহে থুতু ছুড়তে থাকবে। জয়ের মুখ থেকে রাগ কেটে গিয়ে সেখানে আবার শয়তানি হাসি ফিরে আসবে। রফিক, জয়ের হাসি দেখে থমকে যাবে। জয় জানালা ছেড়ে রুমের ভেতরের দিকে যাবে। রফিক উঁকিঝুঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করবে জয় কি করে। জয় একটা চেয়ার নিয়ে এসে জানালার কাছে রাখবে। চেয়ারে উঠে একহাতে জানালার শিক ধরে অন্য হাতে প্যান্টের চেন খুলবে। রফিক ব্যাপারটা আচ করতে পেরে দৌড়ে সানসেটের নিচে গিয়ে দাঁড়াবে। রফিক সানসেটের নিচে দাড়িয়ে আছে তার একটু পাশেই উপর থেকে পানি পড়ছে। ঠিক তখন একটা গানের কলি ভেশে আসবে (শ্রাবণের মেঘগুলি জড়ো হলো আকাশে...অঝড়ে নামবে বুঝি শ্রাবণের ঝড়ায়ে)।ক্যমেরা উপর দিকে উঠতে থাকবে ( দেখা যাবে জয় জানালা দিয়ে পেশাব করছে)। ক্যমেরা উপরে উঠতে উঠতে ছাদে গিয়ে আটকে যাবে। সেখানে একদল ছেলেমেয়ে বিকালের আড্ডায় মেতে উঠেছে, গিটার হাতে তাড়ায় গানটা করছে। জয়ের পেশাব শেষ হওয়ার পর রফিক সানসেটের নিচ থেকে বেড় হয়ে আসবে, উপড়ের দিকে তাকিয়ে দেখবে জানালায় জয় হাসছে। বিজয়ের হাসি তার ঠোটে লেগে আছে। রফিক "হারামজাদা" বলে একটা গালি দিয়ে চলে যাবে।

দৃশ্যঃ
চরিত্রঃ রফিক, সেজাদ
স্থানঃ সেজাদের ড্রইং রুম, জানালা, জানালার নিচের ফুটপাথ( রাস্তা)
সময়ঃ দিন

সেজাদ সোফায় বসে ল্যাপটপে গান শুনছে, তখন কলিং বেল বেজে উঠবে। সেজাদ দরজা খুলে বলবে
সেজাদঃ তুই! আয় ভেতরে আয়।(সেজাদঃ তোর চাকরিটা হয়ে গেছে , মামা বলেছে ৩০,০০০ টাকা বেতন আর থাকার জন্য একটা ফ্ল্যাট দিবে। কি চলবে তো?
রফিক সেজাদের দিকে তাকিয়ে অল্প হাসবে। তখন বেডরুমে সেজাদের ফোনটা বেজে উঠবে
সেজাদঃ তুই বোশ, আমি ফোনটা রিসিভ করে আসছি (সেজাদ বেডরুমের দিকে যাবে)।
রফিক সেজাদের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকবে। সেজাদ রুমের ভেতরে চলে গেলে রফিক চোখ সরিয়ে আনবে টেবিলে পরে থাকা খামটার উপর। খামটা হাতে নিয়ে সোফায় হেলান দিয়ে পায়ের উপর পা তুলে আয়েশ করে বসে খামটা খুলবে। খামের ভেতর থেকে লেটারটা অর্ধেক বের করতেয় দেয়াল ঘড়িটা বেজে উঠবে। রফিক খামটা হাতে রেখেয় ঘড়ির দিকে তাকাবে, একে একে ঘরের সাজসজ্জা দেখতে থাকবে। বেশ দামি দামি সব আসবারপত্র দিয়ে ঘরটা সাজানো। সাজসজ্জা দেখতে দেখতে তার চোখ গিয়ে ঠেকবে জানালায়। সে খামটা টেবিলের উপর রেখে জানালার কাছে গিয়ে দাড়িয়ে নিচের ফুটপাথের দিকে তাকাবে।

জানালার নিচ দিয়ে সে সময় অর্ণব যাচ্ছিলো। উস্কোখুস্কো চুল, মুখে খোচাখোচা দাড়ি, ময়লা জীন্স প্যন্ট, কুচকানো সার্ট, ছেড়া চটি। অর্ণব যখন জানালার নিচে ঠিক তখন তার মাথার সামনে একদলা থুতু পড়ে ছিটকে যাবে। অর্ণব উপর দিকে তাকিয়ে দেখবে জানালায় একটা লোক তার দিকে তাকিয়ে হাসছে, শয়তানি হাসি। রফিকের মুখ থেকে হাসি সরে গিয়ে সেখানে কৌতহল ফুটে উঠবে, কৌতহল থেকে রাগ। নিচ থেকে অর্ণব, রফিক কে উদ্দেশ্য করে উপর দিকে থুতু ছুড়বে। রফিক রেগে যাচ্ছে দেখে দ্বিগুণ উৎসাহে ছুড়তে থাকবে। হটাত অর্ণব থমকে গিয়ে অবাক হয়ে রফিকের দিকে তাকিয়ে থাকে। রফিকের মুখ থেকে রাগ সেরে গিয়ে সেখানে আবার শয়তানি হাসি বাসা বাধবে। তখন একটা গানের কলি ভেশে আসবে "শ্রাবনের মেঘ গুলি জড়ো হোলো আকাশে.....অঝড়ে নামিবে বুঝি শ্রাবণের ধারা এই" ক্যমেরা রফিকের মুখ থেকে সরে ড্রইংরুমের টেবিলের উপর রাখা ল্যাপটপের দিকে যাবে।

স্ক্রিনে ভেশে উঠবে " উপর তালায় থাকার একটা সুবিধা আছে
চাইলেই থুতু ফেলা যায় যে কারো মাথায়
আরো ভালোভাবে বললে
উপর তলায় উঠলেয়
নিচে থুতু ফেলতে ইচ্ছে করে "

বি:দ্র: বাংলা লেখায় একটু দুর্বলতা আছে তাই বানানজনিত ভুল এর জন্যে ক্ষমাপ্রার্থি।



কবিতা পড়তে এখানে ক্লিক করুন


nogorkatha - নগর কথা - bangla short film script website

৭ সেপ, ২০১৯

Bangla Kobita Website

                                           কিছু-কথা

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি কখনো কবিতা লিখিনি। সে চেষ্টাও করিনা, তাহলে আমি কি লিখি? আমার উদ্ভট মস্তিষ্কে যা নাজিল হয় আমি তাই লিখি। সেগুলা কি হয় আমি জানিনা তবে কবিতা যে হয় না সেটা জানি কারণ কবিতা লিখতে হয় নিয়ম বেঁধে ছন্দে আমারতো কেবলি ছন্দ পতনের গল্প তাছাড়া আমি কবিতাকে কোন নিয়মে বাঁধতে চাইনা। কবিতা হবে পানির মত আকৃতি বিহীন। কবিতাকে আকার দেওয়া যায় না, না পাত্রে না পত্রে। কবিতা বিশাল আকাসের চেয়েও বিশাল, গভীর নলকূপের চেয়েও গভীর। কবিতা সমুদ্রের মত। যত খুঁজবে তত মুক্ত- মানিক পাবে। আমি স্বরবৃতি, মাত্রাবৃতি বুঝিনা তাই আমি কখোনো কবিতা লিখিনা। জোড়াতালির শব্দ ভঙ্গা ভাঙ্গা বাক্য এগুলোতো আর কবিতা হয় না। তারপরও এসব যা ইচ্ছেতাই লেখাই দু' চার জন পাঠক জুটে যায়, ছেড়া হৃদয়ের গল্প পড়ে কেউ কেউ উঃ, আহ করে এসব এই দুর্ভাগার সৌভাগ্য, আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। প্রসব ব্যথা উঠলেই আমি লেখা প্রসব করি।

আমার বেতাল শব্দদের ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন, আমি নিজেও জানি আমার এই লেখাগুলো সাহিত্যের কোন বাঁধায় বাঁধা পরে না।

nogorkatha - নগর কথা - bangla kobita website

Bangla koster kobita

তোমায় ছোব

তুমি না হয় গোলাপ নিও
তোমার খোপায় ভীষণ যায়
আমি না হয় ধুতুরা চিবাবো
হারিয়ে ফেলার দায়।
ওষ্ঠে তুমি বিষই রেখো
নষ্ট হবার ভয়ে
আমি না হয় বিষেই মরি
ভ্রমরা হবার দায়ে।
যত্ন করে সেজো তুমি
নূপুর দুটি পরে
তাজা বুকের রক্ত দেবো
আলতা বানিয়ো পায়ে।

কপাল জুড়ে ছোট্ট টিপ
মধ্য রাতের চন্দ্র
আমাবস্যা আমায় ঘিরুক
কান্না করুক শত।
কাঁচের চুড়ি হাতটি জুড়ে
ছন্দে ওঠো মেতে
বুকে আমার ব্যাথার বীনা
বাজুক যতয় করুণ সুরে
তুমি হাসি রেখো ঠোঁটে।

কাজল কালো চোখ
যেনও পদ্দ দীঘির পাড়
দীঘির জলেয় ডুববো না হয়
শীতটা দেখাক যতয় ভয়।
হলদে রাঙ্গা শাড়ী পড়ো
শষ্য ক্ষেতের মাঠ
মাতাল হাওয়ায় তোমায় ছোব
এই জীবনের স্বাদ।


প্রেম বিচ্ছেদ কবিতা


বিচ্ছেদের পর

বিচ্ছেদের পর,
পুরনো প্রেমের তিক্ততা
গলায় আটকে থাকে
শত চেষ্টাতেও উগলে ফেলা যায় না
প্রেয়সির  ঘর, সংসার সুখ-
উচ্ছ্বাস সব কষটা লাগে।
যে শরীরের গন্ধেছিল মাদকতা
সমস্ত শিরা- উপশিরায় ধমনিতে বইতো
বিচ্ছেদের পর,
সেই গন্ধেই বিরক্তি লাগে
বিচ্ছেদের পর,
ভালোবাসার ছিন্ন কাপড়টাকে
বড্ড আপন লাগে।
যে হাসি আমায় ভুবন ভুলিয়ে দিত
যে চোখের নজরে বুকের
ভেতরটা তোলপাড় করে উঠতো
বিচ্ছেদের পর
সেসব আমায় দারুন এক ক্ষত দিল।

ক্ষততে পুজ জমবে
পচিয়ে দেবে আমার শুদ্ধ প্রেমকে

বিচ্ছেদের পর,
আমার নিশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।



ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা


bangla premer kobita


                                          রাতের জ্বালা

কেমন করে ঘুমাও তুমি!
ঘুম কি আসে চোখ জুড়িয়ে!
স্বপ্ন ভরা নিবির রাতে!
বুকের মাঝে কয় না কথা!
অচিন পাখি,
হাজার রকম প্রশ্ন তুলে?

আমি কেমন পুরতে থাকি
তারায় তারায় জ্বলতে থাকি
হারিয়ে এই আঁধারে
তারেয় কেবল খুঁজতে থাকি
পাইনা খুঁজে সিথান পাশে
বুকের ভেতর শূণ্যতা জাগে
দেয়নি ধরা যে, সেই সকালে
কেনো তারে মনে পড়ে
এই মাঝ রাত্রিরে।

তোমারও কি এমন হয়!
দু'চোখ ভরে দেখবো তোমায়
চোখের পাতা এক করিনা
রাতের কাছে আর্জি রাখি
আমার যেনো ঘুম আসে না,
তোমার সনে কইবো কথা
অপেক্ষাতে দিন কাটেনা
এসেও তুমি দাওনা ধরা
এই জ্বালা আর সয় না।

এমন করে পুরাও কেনো
বুকের ভেতর আছর কেটে
অমন করে লুকাও কেনো
আমার কেমন কষ্ট হয়
তোমার নামে আমার সকল নষ্ট হয়।
রাতগুলো সব চুপসে যায়
কাব্যগুলো হারিয়ে যায়
তোমায় ভেবে আমার সকল
ছন্দ গুলো ব্যর্থ হয়।

তোমারও কি এমন হয়!
বেলাগুলো অবেলাতে হারিয়ে যায়!
আমার নামে আরাম ঘুম হারাম হয়!
তোমারও কি দিনগুলো সব
পানসে হয়!
আমার নামে বুকের ভেতর
অচিন এক অসুখ হয়!






short bengali drama script

বৈশাখীর আত্তচিতকার | Boishakher Bangla Kobita

বৈশাখীর আত্তচিতকার

-------------------------------------------------------
বান্দরবন থেকে সুন্দরবন
আমি দেখেছি কিছু মুখোসধারি পশু
লেজ কাটা বাদর
হরিণির মত সুনয়না সাবালিকা।
খবরের কাগজে ছাপা হয় করুণ চিত্‍কার
জানোয়ার গুলো মুখোশের আড়ালে থেকে যায়।
নদিমাতৃক এই বাংলাদেশে একটা সাগর আছে
হয়তো কিশোরির আত্তচিত্‍কারে সাগরটাও ফুঁসে উঠবে
কিন্তু আমরা নিরব থেকে যাই
ঐই জানোয়ারদের বগলের নিচের
বালগুলোও অক্ষত থেকে যায়।
বিপুল উত্‍সাহ উদ্দিপনায় আসছে পহেলা বৈশাখ
আরতো মাত্র কটা দিন
সংবাদ বুলেটিনে আসছে ব্যাপক বিনোদন
ইলিশের দামের নিচে চাপা পড়ে যাবে আবার
কোন কিশোরির করুণ চিত্‍কার
লেজকাটা বাদরগুলো মেতে উঠবে দুষ্টমিতে
বেরিয়ে আসবে মানুষের ভেতর থাকা হায়েনা
কোন অক্ষ্যাত কিশোরি করবে দখল
খবরের কাগজের প্রথম পাতা ।
ধর্ষক এই সমাজ হাততালি দেবে
নাপুংষকের মত clap everybody clap,
মহাসমারহে আসছে
১৬ কোটি মানুষের প্রাণের উত্‍সব
আসছে বাঙ্গালির প্রাণের উত্‍সব।
আবার কি কোন কিশোরির সতিচ্ছেদের
মধ্যদিয়ে হবে বর্ষ বরণ!
কান্নার বিলাপ ঢাকা পড়বে
দূর মাইকে বেজে ওঠা রবি ঠাকুরের গানে
"এসো হে বৈশাখ এসো এসো"


কবিতা আবৃত্তি অডিও

nogorkatha - নগর কথা- bangla kobita website