কবিতা, গল্প, স্ক্রিপ্ট
তাই খুলে ফেলছি শব্দের আবরণ
বের করে আনছি নগ্ন উদ্রৃত শব্দ,
পড়িয়ে দিচ্ছি জন্ম নিরোধ
যেন আর কোন জারজ জন্ম না নেয় ।
আমি শব্দে শব্দে তোমায় ধর্ষণ করবো
তুমি তৈরী থেকো
যোনি চিরে সতীচ্ছেদের রক্তে
পবিত্র করবো ইতিহাস,
তোমার বুক পাজরে বসিয়ে দেব
লালায়িত কামড়ের দাগ.
তুমি তৈরী থেকো সভ্যতা
আমার উথিত শব্দরা বড্ডো বেহায়া
ধর্ম-যাজকদের শাসন মানে না।
তোমায় কামনার লালায় মাখিয়ে
ছেড়া নগ্ন দেহ ফেলে দেব ডাস্টবিনে
তারপর, মোল্লা-পুরোহিতের মত
আমিও বলে দেব, যার চলন বাঁকা
ধর্ষণী তার উৎকৃষ্ট পন্থা।
তোমার ছিনালিপনা, তোমার ছলাকলা
রঙ্গ মঞ্চে উন্মুক্ত নগ্নতা
এসবে উত্তেজিত হয়ে ওঠে
আমার নির্লজ শব্দরা, সংযম মানে না।
তোমাকে পৈশাচিক ধর্ষণ করে
রাষ্ট্রকে জানিয়ে দেব
এই বেশ্যালয়ের কাউকেই আমি ছাড়বো না।
আমার উথিত শব্দরা
ক্ষমতার পোঁদ ফাটাতেও ডরবে না।
মদ- গাজা সবি খাবো
মায়ের বকুনি খাবো
বাবার পেদানী খাবো
খাবো খাবো দুনিয়া খাবো।
প্রেমিকার দেহ খাবো
ভালোবাসার বিষ খাবো
চাঁদের জোস্না খাবো
আমাবস্যার আঁধার খাবো
খাবো খাবো সবি খাবো
তারা গুলাও চিবিয়ে খাবো
মায়ের বকুনি খাবো
বাবার পেদানি খাবো
যা পাবো তাই খাবো।
অমৃতে অসাড় রবো
অসুখে বিসুখ হবো
তবু আমি দুনিয়া খাবো,
ক্ষুধার অসুর পেটে আমার
চাড়ি চাড়ি খাবার দাও
নইলে রাণী তোমায় খাবো
মানবতার রক্ত খাবো
ক্ষমতার সিংহাসন খাবো।
ক্ষুধার আগুন বাড়লে পরে
এ জগৎ সংসার খাবো
আস্ত ব্রহ্মা চিবিয়ে খাবো
ধর্মটাকেও খেয়ে নেব
লাগলে ঝাল চোখেরি জল খাবো
খাবো খাবো সবি খাবো
নষ্ট বুকে মাতাল রবো
মদ গাজা সবি খাবো
মায়ের বকুনি খাবো
বাবার পেদানি খাবো
খাবো খাবো দুনিয়া খাবো।
শরীর থেকে খুলে ফেলি আভিজাত্যের খোলস
মুখ থেকে ঝড়ে লালা
লোভাতুর জিহ্বা বুলিয়ে নেয় আরেকটি নগ্ন শরীর
চোখ ঠিকরে বেড়িয়ে আসে
নখের আছড়, কামনার কামড়ের দাগ থেকে যায় তার বুকে
ছিরে খেতে ইচ্ছা করে গণিকালয়ের এই অপ্সরী কে।
দেহের ভারে দেহটাকে পিষে মারি
বিছানার চাঁদর যেন মানচিত্র কোন বিধস্ত নগরীর।
সমস্ত রাগ, দুঃখ, ঘৃণা বমি করে দেই
টপ টপ করে ঝড়তে থাকে খেদ, হতাশা, ক্ষোভ।
সমস্ত বিষাদের শেষে
দুটো ৫০০ টাকার নোট মুখের উপড়ে ছুড়ে দিয়ে
পড়ে নেই মিথ্যার শ্লোগান
ঠোটের কোল জুড়ে থাকে প্রসস্ত হাসি।
নষ্ট শরীর নিয়ে হেলতে দুলতে বেড়িয়ে আসি
নিকোটিনে হৃদয় জ্বালিয়ে দেখি
কালো পিচের রাস্তা স্রোতে ভেশে যাচ্ছে, অজানায়.......
অন্ধকার গিলে খাচ্ছে সমস্ত শহরটাকে।
মদের নেশা মাথা তুলে দাঁড়ায়
পরিচিত পথ কেমন অচেনা দেখায়।
গলির মোড়ে এসে দাড়াতেই
কুকুরটা ভুগিয়ে ওঠে
আমি কলহলে জড়িয়ে পরি
খিস্তি দিতে দিতে পৌছে যাই সদর দরজায়।
কলিং বেলে হাত রাখি
মাথার ভেতর ঘুরতে থাকে অযাচিত শব্দ।
দরজা খুলে অপেক্ষারত দুটি চোখ আমাকে পর্যবেক্ষণ করে
আমার অসজ্য লাগে, শান্ত দেহটাকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পরি।
টেবিলের ওপর সাজানো খাবার দেখে ঘোর লাগে
পাপ বোধ জাগে সমস্ত হৃদয় জুড়ে।
তড়িঘড়ি করে বেড রুমের দিকে ছুটি
বিছানার ওপর আছরে ফেলি পাপিষ্ঠ শরীর
সমস্ত দিনের ক্লান্তি এসে আছন্ন করে
তলিয়ে যাই অতল ঘুমের সাগরে।
ওদিকে অভীমান বাড়ে, অভিযোগের ফলা গুলো তির্যক হয়
দুঃখ বেড়িয়ে আসে দু'চোখ ভেদ করে
সঙ্গোপনে দেহের পাশে দেহ রাখে
অজ্ঞাত দুটি শরীর পাশা পাশি পড়ে থাকে।
দূরত্ব ক্রমশ বর্ধিত হয়
সম্পর্কের বেড়াজালে আটকা পড়া দুটি হৃদয় মুক্তি চায়।
রংচঙ্গা ঠোটে লাস্যময়ি হাসির আড়ালে
এক জীবনের দীর্ঘনিশ্বাস চেপে রাখা
নিশিকন্যার শরীরে দিশেহারা
ক্ষোভ বমি করে দিয়ে তোকে ভুলতে চাই,
এলকোহলের বন্যায় লিভারটাকে পচিয়ে
গাজার গন্ধে নিজেকে বিসর্জন দিয়েও তোকে ভুলতে চাই।
যে হৃদয়ে তোর পাকাপোক্ত আবাসস্থল ছিল
তা বিষাক্ত নিকোটিনের ধৌয়ায়
কানায় কানায় পূর্ণ করি
কেবল তোকে ভুলতে চাওয়ায়
এড়িয়ে যাই চেনা গলিপথ
পরিচিত বারান্দা, চির চেনা মুখ
এড়িয়ে যাই ব্রেণের সেলে জমে থাকা সৃতি, পুরোনো অতীত
এড়িয়ে যাই তোর অস্তীত্ব, এড়িয়ে যেতে চাই তোর আসক্তি।
আসক্ত হয়ে পরি বেশ্যার রঙ্গে ঢঙ্গে
আসক্ত হয়ে পরি মাতালের আসরে
লিভারটাকে মদের বোতলে ডুবিয়ে দিয়ে
খিস্তীতে তোকে ধর্ষণ করে
আমি আসরের মধ্যমণি হয়ে যাই ,
লাল লাল চোখ ঘীরে থাকে আমাকে
প্রসংসার কলরবে টেবিলে দু'বতল বারতি চলে আসে
গিলে খাই অমৃর্তের শেষ বিন্দু
যেমন করে গিলে খেতাম তোর ঠোটে জমানো রস, বিষাক্ত।
যে তোর হাসিতে মাতাল ছিলো
সেই আমার আমিকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করি,
ঠোটে তুলে নেয় গাজার স্টিক
দু'টানেয় ঝিম ঝিম করে, মাথা
ক্যাবিত্ব এসে ভর করে
আমি কবি হয়ে যাই
লিখেফেলি ইতিহাসের শ্রেষ্টতম ব্যার্থ কবিতা ।
রাষ্ট্রের চোখে আমি বখাটে নামে নষ্ট হয়ে যাই
ঘুরে বেড়ায় আশুদ্ধ নগরীর এগোলি ওগোলি
কেবল তোকে ভুলতে নষ্ট খেলায় নষ্ট জীবন বাজীধরি
কেবল তোকে ভুলতে কথিত শুদ্ধ সমাজের চোখে
তীব্রঘৃণা নিয়ে আমি বার বার আত্তহত্যা করি
মরা লাশ হয়ে প্রিয় শহরে ঘুরিফিরি।
তবুও আমি ভালো থাকতাম
কেবল তোকে যদি ভুলতে পারতাম।
চাটুকারিতার ভাত বড়েছে
তাইতো সবাই চাটতে নেমেছে
চাটাচাটিতে তীব্র স্বাদ পেয়েছে।
কেউ পা চাটছে, কেউ গাল
কেউবা উদৃত সাবালিকার ঠোট
চাটাচাটিতে সবাই ব্যস্ত
ভুলে যাচ্ছে আপন অস্তিত্ব।
তুমি প্রগতিশীল?
তোমাকে চাটতে জানতে হবে
না জানলেও শিখতে হবে
কি বললে! রুচিতে বাধে
তুমি প্রতিক্রিয়াশীল
তোমার জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলা হবে।
যে জিহ্বা চাটতে জানে না
সেই জিহ্বা কখনই কথা বলতে পারবে না।
তোমার মোলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে
স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, গণতন্ত্র হরণ হচ্ছে?
হলে হোক, ওসব নিয়ে ভেবে কি হবে
যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে
তা হল, চাটতে জানতে হবে।
বিষাক্ত ঠোট, অথবা নষ্ট শরীর
ধুলিমাখা চরণ অথবা রক্তের কালি
কাদামাখা পাপিষ্ট দেহ অথবা
মনবতা ধর্ষণকারী যৌনাঙ্গ
তোমাকে চেটেই পরিষ্কার করতে হবে।
মনে রাখবা, রাষ্ট্রে তারাই মুখ্য
যারা চাটাচাটিতে দক্ষ।
কি বললে? তুমি চাটতে জানোনা
তোমার ঠোট কাটা! তোমার এত সাহস?
মাথা উচু করে বলো
চাটাচাটির চটি কথা বাদ দিয়ে
মূল্যবোধের মূলে নেমে আসো।
তবে শুনে রাখো,
শাসন্ত্রের ঐ শিকল তোমার জন্যে
তোমার কাটা ঠোঁট সিলাই হবে
শোধনাগার নামে কালগহ্বরে বন্দি হবে
রাষ্ট্রদ্রোহিতার আখ্যা পাবে।
তুমি কি দেখতে পাওনা
রাষ্ট্র ভেসে যাচ্ছে লালার স্রোতে।
জেনে রেখো, যদি তুমি চাটতে জানো
তবে তোমার জন্যই রাষ্ট্রের সকল দ্বার উন্মুক্ত,
চাটাচাটির চাটুতা ছাড়বে তো
দাতেল কামড়ে মরবে।
এক নারী আমার বোন, ক্ষতি কি?
এক নারীর দেহের প্রতি আমি লোভী, পুরষ মানুষ
'উত্তাল যৌবনের ধাক্কায় নষ্ট পুরুষ'।
এক নারী আমার প্রিয়তম প্রেমিকা
যার হাত ধরে অবলীলায় করে ফেলি অজস্র প্রতিজ্ঞা,
এক নারী আমায় নিয়ে স্বপ্ন সাঁজায়
খোঁপায় বেলীফুল জরায়
লালটকটকে শাড়ী পড়ে
হাতভর্তি কাঁচের চুড়ি
কপালের মধ্য ভাগে ছোট্ট লাল টিপ
অপ্সরীর তুলনায় কম না!
তাতে আমার কি?
তবুও আমার ভালোলাগে, পাশের বাড়ীর সৌমিতা দিদি
মেয়েটা খাসা মাল কিন্তু
পাছা দুলিয়ে যখন হাটে
টপ টপ করে আমার জীব থেকে লালা ঝড়ে
আমি চোখ দিয়ে গিলে খাই তার আবৃত দেহ,
মাগীটাকে বাগে পেলে হয় একদিন
বুঝিয়ে দেব, ওড়না ছাড়া হাটা, ঝাল মিটিয়ে দেব।
এক নারী তীব্র শীতে আমায় বুকে জড়িয়ে রাখে
এক নারীর আশ্রয়ে আমার নিঃশ্বাস বাড়ে
এক নারী আমার লম ভর্তি বুকে আশ্বাস খোঁজে
ধূর, বাল যতসব,
এক নারীর দেহে দেখি আমি মাংসের তুফান
এক নারীর দেহে খুঁজি যৌণতার স্বাদ ।
এক নারী আমার মেয়ে হতে পারতো!
এক নারী আমার ঘরের লক্ষি হতে পারতো!
হয়নি,
নারী কেবলি উথিত লিঙ্গের দাবানলে পুরতে থাকা একদলা নরম মাংসপিণ্ড।
অশ্লীল কবিতা
আমি তোমাকে উপুর্যপরি ধর্ষণ করবোতাই খুলে ফেলছি শব্দের আবরণ
বের করে আনছি নগ্ন উদ্রৃত শব্দ,
পড়িয়ে দিচ্ছি জন্ম নিরোধ
যেন আর কোন জারজ জন্ম না নেয় ।
আমি শব্দে শব্দে তোমায় ধর্ষণ করবো
তুমি তৈরী থেকো
যোনি চিরে সতীচ্ছেদের রক্তে
পবিত্র করবো ইতিহাস,
তোমার বুক পাজরে বসিয়ে দেব
লালায়িত কামড়ের দাগ.
তুমি তৈরী থেকো সভ্যতা
আমার উথিত শব্দরা বড্ডো বেহায়া
ধর্ম-যাজকদের শাসন মানে না।
তোমায় কামনার লালায় মাখিয়ে
ছেড়া নগ্ন দেহ ফেলে দেব ডাস্টবিনে
তারপর, মোল্লা-পুরোহিতের মত
আমিও বলে দেব, যার চলন বাঁকা
ধর্ষণী তার উৎকৃষ্ট পন্থা।
তোমার ছিনালিপনা, তোমার ছলাকলা
রঙ্গ মঞ্চে উন্মুক্ত নগ্নতা
এসবে উত্তেজিত হয়ে ওঠে
আমার নির্লজ শব্দরা, সংযম মানে না।
তোমাকে পৈশাচিক ধর্ষণ করে
রাষ্ট্রকে জানিয়ে দেব
এই বেশ্যালয়ের কাউকেই আমি ছাড়বো না।
আমার উথিত শব্দরা
ক্ষমতার পোঁদ ফাটাতেও ডরবে না।
খাবো খাবো দুনিয়া খাবো
খাবো খাবো দুনিয়া খাবোমদ- গাজা সবি খাবো
মায়ের বকুনি খাবো
বাবার পেদানী খাবো
খাবো খাবো দুনিয়া খাবো।
প্রেমিকার দেহ খাবো
ভালোবাসার বিষ খাবো
চাঁদের জোস্না খাবো
আমাবস্যার আঁধার খাবো
খাবো খাবো সবি খাবো
তারা গুলাও চিবিয়ে খাবো
মায়ের বকুনি খাবো
বাবার পেদানি খাবো
যা পাবো তাই খাবো।
অমৃতে অসাড় রবো
অসুখে বিসুখ হবো
তবু আমি দুনিয়া খাবো,
ক্ষুধার অসুর পেটে আমার
চাড়ি চাড়ি খাবার দাও
নইলে রাণী তোমায় খাবো
মানবতার রক্ত খাবো
ক্ষমতার সিংহাসন খাবো।
ক্ষুধার আগুন বাড়লে পরে
এ জগৎ সংসার খাবো
আস্ত ব্রহ্মা চিবিয়ে খাবো
ধর্মটাকেও খেয়ে নেব
লাগলে ঝাল চোখেরি জল খাবো
খাবো খাবো সবি খাবো
নষ্ট বুকে মাতাল রবো
মদ গাজা সবি খাবো
মায়ের বকুনি খাবো
বাবার পেদানি খাবো
খাবো খাবো দুনিয়া খাবো।
Bangla koster kobita
সভ্যসাচি
তারপর আমি নগ্ন হইশরীর থেকে খুলে ফেলি আভিজাত্যের খোলস
মুখ থেকে ঝড়ে লালা
লোভাতুর জিহ্বা বুলিয়ে নেয় আরেকটি নগ্ন শরীর
চোখ ঠিকরে বেড়িয়ে আসে
নখের আছড়, কামনার কামড়ের দাগ থেকে যায় তার বুকে
ছিরে খেতে ইচ্ছা করে গণিকালয়ের এই অপ্সরী কে।
দেহের ভারে দেহটাকে পিষে মারি
বিছানার চাঁদর যেন মানচিত্র কোন বিধস্ত নগরীর।
সমস্ত রাগ, দুঃখ, ঘৃণা বমি করে দেই
টপ টপ করে ঝড়তে থাকে খেদ, হতাশা, ক্ষোভ।
সমস্ত বিষাদের শেষে
দুটো ৫০০ টাকার নোট মুখের উপড়ে ছুড়ে দিয়ে
পড়ে নেই মিথ্যার শ্লোগান
ঠোটের কোল জুড়ে থাকে প্রসস্ত হাসি।
নষ্ট শরীর নিয়ে হেলতে দুলতে বেড়িয়ে আসি
নিকোটিনে হৃদয় জ্বালিয়ে দেখি
কালো পিচের রাস্তা স্রোতে ভেশে যাচ্ছে, অজানায়.......
অন্ধকার গিলে খাচ্ছে সমস্ত শহরটাকে।
মদের নেশা মাথা তুলে দাঁড়ায়
পরিচিত পথ কেমন অচেনা দেখায়।
গলির মোড়ে এসে দাড়াতেই
কুকুরটা ভুগিয়ে ওঠে
আমি কলহলে জড়িয়ে পরি
খিস্তি দিতে দিতে পৌছে যাই সদর দরজায়।
কলিং বেলে হাত রাখি
মাথার ভেতর ঘুরতে থাকে অযাচিত শব্দ।
দরজা খুলে অপেক্ষারত দুটি চোখ আমাকে পর্যবেক্ষণ করে
আমার অসজ্য লাগে, শান্ত দেহটাকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পরি।
টেবিলের ওপর সাজানো খাবার দেখে ঘোর লাগে
পাপ বোধ জাগে সমস্ত হৃদয় জুড়ে।
তড়িঘড়ি করে বেড রুমের দিকে ছুটি
বিছানার ওপর আছরে ফেলি পাপিষ্ঠ শরীর
সমস্ত দিনের ক্লান্তি এসে আছন্ন করে
তলিয়ে যাই অতল ঘুমের সাগরে।
ওদিকে অভীমান বাড়ে, অভিযোগের ফলা গুলো তির্যক হয়
দুঃখ বেড়িয়ে আসে দু'চোখ ভেদ করে
সঙ্গোপনে দেহের পাশে দেহ রাখে
অজ্ঞাত দুটি শরীর পাশা পাশি পড়ে থাকে।
দূরত্ব ক্রমশ বর্ধিত হয়
সম্পর্কের বেড়াজালে আটকা পড়া দুটি হৃদয় মুক্তি চায়।
ভুলতে চাই
রংচঙ্গা ঠোটে লাস্যময়ি হাসির আড়ালে
এক জীবনের দীর্ঘনিশ্বাস চেপে রাখা
নিশিকন্যার শরীরে দিশেহারা
ক্ষোভ বমি করে দিয়ে তোকে ভুলতে চাই,
এলকোহলের বন্যায় লিভারটাকে পচিয়ে
গাজার গন্ধে নিজেকে বিসর্জন দিয়েও তোকে ভুলতে চাই।
যে হৃদয়ে তোর পাকাপোক্ত আবাসস্থল ছিল
তা বিষাক্ত নিকোটিনের ধৌয়ায়
কানায় কানায় পূর্ণ করি
কেবল তোকে ভুলতে চাওয়ায়
এড়িয়ে যাই চেনা গলিপথ
পরিচিত বারান্দা, চির চেনা মুখ
এড়িয়ে যাই ব্রেণের সেলে জমে থাকা সৃতি, পুরোনো অতীত
এড়িয়ে যাই তোর অস্তীত্ব, এড়িয়ে যেতে চাই তোর আসক্তি।
আসক্ত হয়ে পরি বেশ্যার রঙ্গে ঢঙ্গে
আসক্ত হয়ে পরি মাতালের আসরে
লিভারটাকে মদের বোতলে ডুবিয়ে দিয়ে
খিস্তীতে তোকে ধর্ষণ করে
আমি আসরের মধ্যমণি হয়ে যাই ,
লাল লাল চোখ ঘীরে থাকে আমাকে
প্রসংসার কলরবে টেবিলে দু'বতল বারতি চলে আসে
গিলে খাই অমৃর্তের শেষ বিন্দু
যেমন করে গিলে খেতাম তোর ঠোটে জমানো রস, বিষাক্ত।
যে তোর হাসিতে মাতাল ছিলো
সেই আমার আমিকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করি,
ঠোটে তুলে নেয় গাজার স্টিক
দু'টানেয় ঝিম ঝিম করে, মাথা
ক্যাবিত্ব এসে ভর করে
আমি কবি হয়ে যাই
লিখেফেলি ইতিহাসের শ্রেষ্টতম ব্যার্থ কবিতা ।
রাষ্ট্রের চোখে আমি বখাটে নামে নষ্ট হয়ে যাই
ঘুরে বেড়ায় আশুদ্ধ নগরীর এগোলি ওগোলি
কেবল তোকে ভুলতে নষ্ট খেলায় নষ্ট জীবন বাজীধরি
কেবল তোকে ভুলতে কথিত শুদ্ধ সমাজের চোখে
তীব্রঘৃণা নিয়ে আমি বার বার আত্তহত্যা করি
মরা লাশ হয়ে প্রিয় শহরে ঘুরিফিরি।
তবুও আমি ভালো থাকতাম
কেবল তোকে যদি ভুলতে পারতাম।
short bengali drama script
চাটাচাটির চটি কথা
দিকে দিকে রটে গেছেচাটুকারিতার ভাত বড়েছে
তাইতো সবাই চাটতে নেমেছে
চাটাচাটিতে তীব্র স্বাদ পেয়েছে।
কেউ পা চাটছে, কেউ গাল
কেউবা উদৃত সাবালিকার ঠোট
চাটাচাটিতে সবাই ব্যস্ত
ভুলে যাচ্ছে আপন অস্তিত্ব।
তুমি প্রগতিশীল?
তোমাকে চাটতে জানতে হবে
না জানলেও শিখতে হবে
কি বললে! রুচিতে বাধে
তুমি প্রতিক্রিয়াশীল
তোমার জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলা হবে।
যে জিহ্বা চাটতে জানে না
সেই জিহ্বা কখনই কথা বলতে পারবে না।
তোমার মোলিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে
স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে, গণতন্ত্র হরণ হচ্ছে?
হলে হোক, ওসব নিয়ে ভেবে কি হবে
যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে
তা হল, চাটতে জানতে হবে।
বিষাক্ত ঠোট, অথবা নষ্ট শরীর
ধুলিমাখা চরণ অথবা রক্তের কালি
কাদামাখা পাপিষ্ট দেহ অথবা
মনবতা ধর্ষণকারী যৌনাঙ্গ
তোমাকে চেটেই পরিষ্কার করতে হবে।
মনে রাখবা, রাষ্ট্রে তারাই মুখ্য
যারা চাটাচাটিতে দক্ষ।
কি বললে? তুমি চাটতে জানোনা
তোমার ঠোট কাটা! তোমার এত সাহস?
মাথা উচু করে বলো
চাটাচাটির চটি কথা বাদ দিয়ে
মূল্যবোধের মূলে নেমে আসো।
তবে শুনে রাখো,
শাসন্ত্রের ঐ শিকল তোমার জন্যে
তোমার কাটা ঠোঁট সিলাই হবে
শোধনাগার নামে কালগহ্বরে বন্দি হবে
রাষ্ট্রদ্রোহিতার আখ্যা পাবে।
তুমি কি দেখতে পাওনা
রাষ্ট্র ভেসে যাচ্ছে লালার স্রোতে।
জেনে রেখো, যদি তুমি চাটতে জানো
তবে তোমার জন্যই রাষ্ট্রের সকল দ্বার উন্মুক্ত,
চাটাচাটির চাটুতা ছাড়বে তো
দাতেল কামড়ে মরবে।
দৃষ্টিকোণ
এক নারীর গর্ভে আমার জন্ম, তাতে কি?এক নারী আমার বোন, ক্ষতি কি?
এক নারীর দেহের প্রতি আমি লোভী, পুরষ মানুষ
'উত্তাল যৌবনের ধাক্কায় নষ্ট পুরুষ'।
এক নারী আমার প্রিয়তম প্রেমিকা
যার হাত ধরে অবলীলায় করে ফেলি অজস্র প্রতিজ্ঞা,
এক নারী আমায় নিয়ে স্বপ্ন সাঁজায়
খোঁপায় বেলীফুল জরায়
লালটকটকে শাড়ী পড়ে
হাতভর্তি কাঁচের চুড়ি
কপালের মধ্য ভাগে ছোট্ট লাল টিপ
অপ্সরীর তুলনায় কম না!
তাতে আমার কি?
তবুও আমার ভালোলাগে, পাশের বাড়ীর সৌমিতা দিদি
মেয়েটা খাসা মাল কিন্তু
পাছা দুলিয়ে যখন হাটে
টপ টপ করে আমার জীব থেকে লালা ঝড়ে
আমি চোখ দিয়ে গিলে খাই তার আবৃত দেহ,
মাগীটাকে বাগে পেলে হয় একদিন
বুঝিয়ে দেব, ওড়না ছাড়া হাটা, ঝাল মিটিয়ে দেব।
এক নারী তীব্র শীতে আমায় বুকে জড়িয়ে রাখে
এক নারীর আশ্রয়ে আমার নিঃশ্বাস বাড়ে
এক নারী আমার লম ভর্তি বুকে আশ্বাস খোঁজে
ধূর, বাল যতসব,
এক নারীর দেহে দেখি আমি মাংসের তুফান
এক নারীর দেহে খুঁজি যৌণতার স্বাদ ।
এক নারী আমার মেয়ে হতে পারতো!
এক নারী আমার ঘরের লক্ষি হতে পারতো!
হয়নি,
নারী কেবলি উথিত লিঙ্গের দাবানলে পুরতে থাকা একদলা নরম মাংসপিণ্ড।