FreeWebSubmission.com

৭ সেপ, ২০১৯

ভালোবসার প্রতিশোধের গল্প | Daini valobasar protishodher golpo

ডাইনী (একটি প্রতিশোধের গল্প)

কষ্টের ভালবাসার গল্প 

চাঁদ সুন্দর, কিন্তু ধরা যায় না ছোয়া যায় না। তেমনি কিছু মেয়ে আছে, যারা চাঁদের মতই সুন্দর। তাদেরকেও ধরা যায় না ছোয়া যায় না। শুধু দূর থেকে দেখলে একটা অস্ফুটিত হাহাকার আর আফচোসের কয়েকটা শব্দ ঠোট গলে বেড়িয়ে যায়। নীলাও সুন্দর চাঁদের মতই সুন্দর কিন্তু নীলা কে ধরা যায় ছোয়া যায়। মেয়েটা কেমন যেন, হাতের কাছেই থাকে । চাইলেই যে কেউ ধরতে পারে ছুতে পারে। বড্ড শরীর ঘেঁষাঘেঁষি স্বভাব। নীলা কে যেদিন প্রথম দেখি, আমি হা করে তাকিয়ে ছিলাম। তারপর থেকে যতবার দেখেছি শুধু তাকিয়েই থেকেছি। কখনো কাছে যাওয়ার সাহশ পায়নি। ছোটবেলায় নানী গল্প শোনাতো। যত রাক্ষুশি-ডাইনি আছে তারা নাকি সুন্দরী মেয়েদের রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে আসে। তারপর থেকে সুন্দরী মেয়ে দেখলেয় আমার ভয় করে, হৃদপিণ্ড কেমন যেন কাঁপতে থাকে। নীলাকে দেখলেও কাঁপে, বুক ধরফর করে ওঠে। চাঁদের কলঙ্ক আছে, চাঁদের কলঙ্ক কি? আমি জানি না। নীলারও কলঙ্ক আছে, ক্যম্পাসের সবাই জানে। রাতুলের সাথে নীলার সম্পর্ক ছিল। রাতুলের সাথে থাকা অবস্থায় নিলয়ের সাথে নীলা কে দেখা গেল। নীলয়ের গার্লফ্রেন্ড ছিল রিয়া। রিয়া, নীলার মত অত সুন্দর না তবে বেশ মিষ্টি মিষ্টি চেহারা। একটু বোকাসোকাও বটে। এই বোকা মেয়েটাই ভয়ংকর একটা কাজ করে বসলো। পুরো ক্যম্পাসে রটিয়ে দিলো নীলা মানুষ না, একটা ডাইনী। সে যে ছেলের দিকে হাত বাড়াবে সেই ছেলেয় তার বশ হয়ে যাবে, প্রমাণও মিললো হাতেনাতে। এইতো সজীবও এসে বললো সেও নীলার সাথে রাত কাটিয়েছে। মেয়েটা বড্ড দয়াশীল। যেই হাত পেতেছে তারই দু হাত পূর্ণ করে দিয়েছে।

bangla kobita


আমি নীলার থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলতাম। তবুও সেদিন ক্লাস শেষে যখন বেড়োতে যাবো দেখি নীলা আমাকে ডাকছে । আমার পা থমকে গেল, মেরুদন্ড দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেল। আমি প্রাণপণে চাইলাম ছুটে পালাতে কিন্তু শরীর কিছুতেই নড়ছে না। পা দুটো যেন বরফ হয়ে গেছে। নীলা আমার হাত ধরে টানতে টানতে ক্যন্টিনে নিয়ে গেল। ক্যন্টিন ফাকাই ছিল তবুও নীলা আমাকে কোণার একটা সিটের দিকে নিয়ে গেল। বসতে বসতে বললো "তুমি যে আমাকে পছন্দ করো আমি জানি"। আমি হা করে নীলার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। নীলা ঠোটে হাসি টেনে বললো "যে দিন আমি তোমাকে প্রথম দেখি, সেদিনও দেখেছি তুমি আমার দিকে এমন হা করে তাকিয়ে আছো"। আমি ঠোট বন্ধ করলাম। নীলা আমার কানের আছে মুখ এনে বললো " কাজটা ঠীক করোনি একজন ডাইনিকে ভালোবাসা তোমার উচিত হয়নি। জানোতো, আমি একটা ডাইনী আর ডাইনীর সাথে যারা সঙ্গম করে তারা প্রত্যকেই মারা যায় । সজীব, নীলয়, রাতুল এরাও মারা যাবে অথোচো বোকারা এখোনো জানেই না"। আমি কিছু বলতে পারছিলাম না, অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম নীলার দিকে। এই মেয়েটা কি সব বলছে! নীলা নিজে থেকেই আবার বলতে শুরু করলো " শুনবে আমার ডাইনী হয়ে ওঠার গল্প?"। আমি মনেপ্রাণে চিৎকার করে বলেছিলাম না, শুনবো না কিন্তু মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের করতে পারিনি। নীলা বলে চলেছে " সে দিন ছিল আমার বান্ধবীর এর ভাইয়ের বিয়ে। ঐ বাড়িতে আমার আগে থেকেই যাতায়েত ছিল তাই বাড়ীর সবাই আমাকে চিনতো। হটাত আমার ফ্রেশরুমে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ায় নীচ তালায় ভীর বলে আমি দোতালায় গেছিলাম। দোতালা ফাকাই ছিল। আমি বাথরুমে ঢোকার পড়েয় কারেন্ট যায়। জেনারেটর চালু করতে দেরী হচ্ছিলো বলে আমি বের হতে যাবো ঠীক তখনি একটা রাক্ষশ এসে আমার মুখ চেপে ধরে, ঠেলে নিয়ে যায় ভেতরে"। নীলা কাঁদছে, হাঊমাউ করে কাঁদছে। সান্তনা দেবার ভাষা আমার জানা নেই। আমি আমার হাত নীলার হাতের উপর রাখলাম। নীলা নিজেকে সামলে নিয়ে আবার বলতে শুরু করলো " ঘৃণায়-লজ্জায় সেই কথা আমি কাউকে বলতে পারিনি শুধু মা কে বলেছিলাম মাও চেপে যেতে বললেন। তখনো জানতাম না যে ঐ রাক্ষশটাই আমাকে অভিশপ্ত করেছে। রাতুল কে আমি ভালবাসতাম কিন্তু রাতুল আমাকে নিয়ে শুধুই খেলেছে। ওর আর আমার কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্য ধারণ করে দিনের পর দিন আমাকে ব্লাকমেল করেছে। প্রথম যেদিন আমি ভিডিওটা দেখেছিলাম এতটাই শকড হয়েছিলাম যে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম। ক্লিনিকে যেতে হয়েছিলো আর সেখানেই জেনেছি আমি এইচ আই ভি পজেটিভ। রাতুল আমাকে নীলয়ের শুতে বলেছিলো। আমার কি হয়েছিলো আমি জানি না রাগ, ক্ষোভ আর প্রতিশোধের নেশায় অন্ধ হয়ে আমি আমার এইডস এর কথা চেপে গেলাম। তারপর রাতুল যার যার সাথে বলেছে সবার সাথেই আমি রাত কাটিয়েছি। ওরা সবাই এখন আমার ভাইরাস বয়ে বেড়াচ্ছে। প্রতিটা ডাইনিই চায় তার অস্তিত্ব টিকে থাক"। আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না আবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম নীলার দিকে। ওর চোখ গুলো কি গভীর! নীলা বলছিলো " এসব কথা আমি কাউকে বলিনি শুধু তোমাকেই বললাম।" আমি নীলার দিক থেকে মুখটা অন্য দিকে ফিরিয়ে বলেছিলাম" আমাকেই কেনো বললে?"। নীলা বললো "আমি খুব বেশী অসুস্থ হয়ে পড়েছি, বাবা আমাকে বাহিরে পাঠীয়ে দিচ্ছেন তিনি চান না তার মেয়ের কলঙ্কের কথা সবাই জেনে যাক আর কখনোই তোমার সাথে দেখা হবে না।" আচমকা আমার হাটতা চেপে ধরে বললো " সবার মত তুমিও নিশ্চয় আমাকে নষ্ট মেয়ে ভাবো কিন্তু বিশ্বাস করো আমি নষ্ট মেয়ে না, আর যে যাই ভাবুক তুমি আমাকে নষ্ট ভেবো না, প্লিজ।" বলেই নীলা কাদতে কাদতে চলে গেলো। আমার চোখের কোণে তীরতীরে ব্যাথা , ঝাপসা চোখে আমি নীলার চলে যাবার দিকে তাকিয়ে আছি।
সেদিনের পর থেকে নীলাকে আর কখনো দেখিনি। রাতুল মারা গেছে। সজীব, নীলয়ও অসুস্থ। আমার পাশের কেবিনেই ওরা আছে। আমিও ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছি। সেই দিনের সেই বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো আমার কাজিনের। সেখানেই নীলা কে দেখে আমি রাক্ষশ হয়ে উঠেছিলাম। সে কথা কেঊ জানে না, সবাই ভেবেছে আমিই ছিলাম নীলার শেষ শিকার কারণ আমার সাথেয় শেষ বার নীলাকে দেখা গেছে।

(কষ্টের প্রেমের গল্প)

বাংলা গল্প

bengali short story script | Film Scrip

আত্তচিত্র

কষ্ট জীবনের গল্প

দৃশ্যঃ ১
সময়ঃসকাল
চরিত্রঃ সেজাদ
স্থানঃ সেজাদের বেডরুম
সেজাদ দাড়িয়ে আছে, সেজাদের ঠিক সামনে সেজাদের মত পোষাক পড়ে দাঁড়িয়ে আছে আর একজন। লোকটার হাতে একটা ছুরি চকচক করছে। ভয়ে সেজাদ থড়িথড়িয়ে কাঁপছে। চিপ বেয়ে ঘাম ঝড়ছে। আচমকা ছুরিটা সেজাদের গলা চিড়িয়ে দিলো। রক্ত ছিটকে গিয়ে লাগলো লোকটার জামায়। সেজাদ নিস্তেজ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লো। লোকটা পা দিয়ে সেজাদের বডিটা নাড়া দিলো। সেজাদের কোন রেন্সপন্স না পেয়ে চলে গেল বেসিং এ। ছুরিটা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে গেয়ে রাখলো ....। রাখার সময় এক ফোটা রক্ত লোকটার হাত বেয়ে গড়িয়ে পড়লো ছুরির ধার বেয়ে। লোকটা সেদিকে লক্ষ্য না করে বাথরুমে গিয়ে শাওয়ার নিলো। শাওয়ার শেষে প্যান্ট শার্ট পড়ে টাইটা নিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো আয়নার সামনে। টাইটা বেঁধে একটু ঝুকে চুল ঠিক করলো। প্রথম বারের মত সেই সময় আয়নায় লোকটার চেহারা দেখা গেল। লোকটার চেহারা একদম সেজাদের মত। যেন সেজাদের প্রতিবিম্ব। সেই প্রতিবিম্বের ঠোটে একটা অদ্ভুদ হাসি আর আয়নায় দেখা যায় সেজাদের লাশ পরে আছে। গল্পটা বোঝার জন্য আমরা এই খুনিটাকেই সেজাদ ধরে নেই ।

দৃশ্যঃ
সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ সেজাদ
স্থানঃ বাসা
সেজাদ রিক্সার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। ডানে তাকাবে তারপর বামে তাকাবে। বামে তাকিয়ে দেখবে একটা লোক উস্কোখুস্কো চুল, খোচাখোচা দাড়ি, ময়লা শার্ট, ছেড়া চটি পড়ে চায়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে চা খাচ্চে আর তার দিকে তাকিয়ে আছে। সেজাদ লক্ষ্য করে দেখবে লোকটার ঠোটে এক অদ্ভুদ হাসি আর লোকটা দেখতে ঠিক সেজাদের মত। রিক্সার খোঁজে সামনে তাকিয়ে দেখবে রাস্তার ওপর পাশে একটা ফকির বসে আছে। সেও সেজাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে তার চেহারাও ঠিক সেজাদের মত। সেজাদ ভয় পেয়ে যাবে। তড়িঘড়ি করে সামনে একটা ফাকা রিক্সায় উঠে যাবে। রিক্সা চলে যাবে ( পেছন থেকে শর্ট)।


প্রেম বিচ্ছেদ কবিতা


দৃশ্যঃ
সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ সেজাদ
স্থানঃ অফিস
সেজাদ রিক্সা থেকে নেমে রিক্সার ভারা দিতে যাবে। তখন রিক্সায়ালা বলবে
রিক্সায়ালাঃ কত দিচ্ছেন আরো ১০ টাকা বাড়িয়ে দিন।
সেজাদ রেগে রিক্সায়ালা কে কিছু বলতে গিয়ে রিক্সায়ালার দিকে তাকিয়ে দেখবে রিক্সায়ালাও সেই অদ্ভুদ ভাবে হাসছে এবং রিক্সায়ালার চেহারাও ঠিক তার মত দেখতে। সেজাদ ভয় পেয়ে আরো ১০ টাকা বাড়তি দিয়ে তারাতারি অফিসে ডুকবে।

দৃশ্যঃ ৪
সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ সেজাদ
স্থানঃ সেজাদের ডেস্ক

সেজাদ অফিসে ডুকে নিজ ডেস্কে গিয়ে বসে টেবিলের উপড় থেকে পানির গ্লাস নিয়ে ডকডক করে খেতে থাকবে। তখন অফিসের পিয়ন আসবে।
পিয়নঃ বস আপনাকে ডেকেছেন, এখনি যেতে বলেছেম।
সেজাদ পানির গ্লাসটা রেখে রাগি রাগি ভাব নিয়ে পিয়নের দিকে তাকিয়ে দেখবে। পিয়নটাও সেই অদ্ভুদ ভাবে হাসছে। পিয়নটার চেহারাও ঠিক সেজাদের মত। সেজাদ আর পিয়ন কে কিছু না বলে ডেস্ক ছেড়ে বসের রুমের দিকে যাবে।

দৃশ্যঃ ৫
সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ সেজাদ, বস
স্থানঃ বসের রুম

সেজাদ বসের রুমের দরজা খুলবে।
সেজাদঃ আসতে পারি স্যার?
বসঃ (সেজাদের ল্যাপটপ ঘাটছিলো, সে সাজাদের দিকে না তাকিয়ে) আসুন, অফিসটাকে কি আপনার বাবার যে যখন খুশি আসবেন!
কয়টা বাজে?
সেজাদ কিছু বলছে না দেখে বস সেজাদের দিকে তাকায়ে ঘাবড়ে যাবে। ভয়ে ভয়ে রুম ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে যাবে। সেজাদ আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখবে তার ঠোটেও সেই অদ্ভুদ হাসি লেগে আছে এবং সে দেখতে বসের মত হয়ে গেছে।

দৃশ্যঃ ৬
সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ বস

বস অফিস থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় দাঁড়াবে। ডানে তাকিয়ে দেখবে তার মত দেখতে একটা ছেলে। উস্কোখুস্কো চুল, খোচাখোচা দাড়ি, ময়লা শার্ট, ছেড়া চটি পরে তার দিকে আছে। ছেলেটার ঠোটে সেজাদের মত অদ্ভুদ হাসি। বস বামে তাকিয়ে দেখবে একটা ফকির তার দিকে তাকিয়ে সেই অদ্ভুদ ভাবে তার হাসছে ফকিরটা দেখতে তার মত। বস ভয় পেয়ে যাবে। কিছু দূড়েয় একটা রিক্সা দেখে তরিঘরি করে রিক্সার দিকে ছুটতে গিয়ে দেখবে রিক্সায়ালাটাও তাকে দেখে হাসছে রিক্সায়ালাটার চেহারাও দেখতে ঠিক তার মত।




বাংলা গল্প

nogorkatha - নগর কথা